কোন কোন অবস্থায় স্ত্রীর কাছে যাবেন না?

মহিলাদের মাসিক কিংবা ঋতুস্রাব অবস্থায় কখনোই স্ত্রী সহবাস করা উচিত না। নিফাস অর্থাৎ মহিলাদের বাচ্চা প্রসবের পর চল্লিশ দিন কিংবা এর কমে যে কয়দিনে রক্ত আসা পরিপূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায় এই অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করা উচিত না। এই দুসময়ের মধ্যে সহবাস করলে উভয়েরই অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কেননা এ সময়ের রক্তের প্রচুর পরিমাণ বিষাক্ত জীবানু থাকে। যার দ্বারা ভয়ানক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা প্রমাণিত।

অনেক পুরুষকে দেখা যায় যে, এই সময় সহবাস করার জন্য লজ্জাস্থানে এলার্জী জাতীয় নানান রোগ হয়। লজ্জাস্থানে জ্বালাপোড়া হয়। আবার কারও ধাতু দুর্বলতা দেখা দেয়। এ সময়ের সহবাস দ্বারা সন্তান জন্ম নিলে অনেক ক্ষেত্রে সন্তানের শরীরে নানান রোগ হয়ে থাকে। শরীরে নানান ধরণের ঘা হয়, যা থেকে অনবরত পানি ঝরতেই থাকে ও বাচ্চাদানী বাহিরে বের হয়ে আসে। আবার অনেক সময় মহিলাদের ভ্রুণ নষ্টের রোগ হয়ে থাকে। তাছাড়াও এ সময়ের সহবাসে নারী পুরুষ উভয়েই নানান ধরণের রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়।

কেননা ঋতুস্রাব এবং নেফাসের রক্তে শরীরের ভিতরের রোগ জীবাণুযুক্ত অপবিত্র উপকরণ থাকে। সেই সঙ্গে বিষাক্ত জীবাণুও থাকে। রক্তস্রাবের সময় মহিলাদের সর্বক্ষণ রক্ত নির্গত হওয়ার জন্য কারো কারো যৌনাঙ্গটি এক প্রকার ফোলা এবং উষ্ণ থাকে। ঋতুস্রাব কিংবা নেফাস থেকে পবিত্র হয়ে গোসল করার আগ পর্যন্ত মহিলাদের সঙ্গে সহবাস করবেনা। কাজের ব্যস্ততা বেশি থাকলে সে সময় সহবাস করা উচিত না। আবার চিন্তা-ভাবনা, পেরেশানী এবং বিচলিত অবস্থায় সহবাস করা উচিত না। দুর্বল ও ক্লান্ত অবস্থায় সহবাস না করা উচিত। মাতাল অবস্থায় সহবাস না করাই উচিত। পেশাব পায়খানার চাপ থাকলে সহবাস না করা।

একেবারে খালি পেটে অথবা ভরপেটেও সহবাস না করা। এই অবস্থায় সহবাসে পেটের নানান রোগ সৃষ্টি হওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে। এমনকি পাকস্থলী কলিজার উপর চলে আসারও সম্ভাবনা থাকে। বিজ্ঞদের মতে ভরপেটে সহবাস করলে শগর (অর্থাৎ পেশাবের সাথে পূজ পড়া এবং শরীর খুবই দুর্বল হয়ে যাওয়া) রোগ হয়ে থাকে আবার একেবারে খালি পেটে সহবাস করা শরীরের জন্য আরও ক্ষতিকর।

কেননা বীর্যপাতের পর অণ্ডকোষ নিজের খাদ্য চর্বি থেকে তলব করে থাকে। আর চর্বি নিজের খাবার তলব করে কলিজা থেকে। কলিজা তার খাবার তলব করে পাকস্থলী থেকে। ক্ষুধার্ত অবস্থায় পেট থাকে একেবারে খাবার শূন্য। ফলে টিবি, ভীতিপ্রদ রোগ, চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। অসুস্থতা হতে মুক্তির পর শারীরিক দুর্বলতা এখনও অবশিষ্ট রয়েছে এই অবস্থায় সহবাস না করা।

মৃগী রোগ, টিবি রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তি সহবাস থেকে দূরে থাকবে। মস্তিষ্ক ক্ষয় হয় এমন কাজের পর সহবাস না করা। যাদের চোখের দৃষ্টির রোগ, শারীরিক দুর্বলতা এবং কলিজা, পাকস্থলী দুর্বল তাদের তাদের জন্যও সহবাস করা ক্ষতিকর। তদ্রুপভাবে অর্শ্ব এবং আক্রান্ত ব্যাক্তি যথাসম্ভব সহবাস থেকে দূরে থাকবে। আবার যাদের গনোরিয়া রোগ রয়েছে তারাও যথাসম্ভব সহবাস থেকে দূরে থাকবেন।

অসুস্থ অবস্থায় এবং জীবানুযুক্ত বাতাস গ্রহণের সময় সহবাস না করা উচিত। জ্ঞানী ব্যাক্তিদের ধারণা মতে চাঁদের এগারো তারিখে সহবাস করা নিজের বয়স কমিয়ে ফেলারই নামান্তর। প্রাপ্ত বয়সের পূর্বে ভ্রুণ তৈরি হলে সে সন্তান অসুস্থ অবস্থায় জন্মগ্রহণ করে। বৈজ্ঞানিকদের মত রাতের প্রথমাংশে সহবাসের দ্বারা সন্তান জন্ম গ্রহণ করলে সে সন্তান অল্প বয়সে মৃত্যুবরণ করে। আর রাতের শেষ প্রহরে সহবাস করার দ্বারা সন্তান জন্মগ্রহণ করলে সন্তান সুস্থ সবল এবং ধর্মভীরু হয়ে থাকে।



মন্তব্য চালু নেই