কোটার ফাঁদে ট্রেনের ৩৫ শতাংশ টিকিট

ট্রেনের টিকিটে এবারো কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে। ই-টিকিটে ২৫ ভাগ, ভিআইপি ৫ এবং রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী জন্য শতকরা ৫ ভাগ টিকিট রাখা রয়েছে।

আইন মেনেই টিকিটের এ কোটা রাখা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা বলছেন। তবে বাস্তবে এ কোটা আরো বৃদ্ধি পায় বলে স্টেশনের একটি সূত্র বলছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদের সময় মন্ত্রী, সাংসদ, বিচারপতি, সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য টিকিট রাখতে হয়। স্টেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও পদাধিকার বলে টিকিটের এ সুবিধা পান। আর অনলাইনের জন্য এবার শতকরা ২৫ ভাগ টিকিট রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইটে গেলে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যাবে।

তবে বাস্তবে এই কোটার নামে অগণিত টিকিট যায়। এই সময় স্টেশন ম্যানেজার থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রভাবশালীদের তদবিরে টিকিট দিতে বাধ্য হন। আবার অনলাইনে টিকিট বিক্রির নামে রেলের এক শ্রেণির কর্মকর্তা টিকিট আটকে রেখে বাড়তি দাম নিয়ে কালোবাজারিদের কাছে বিক্রি করে দেন। এ কারণে অনেকেই এই ব্যবস্থায় টিকিট কিনতে পারেন না। কোটার কারণে সাধারণ যাত্রীরা লাইনে দাঁড়িয়েও অনেক সময় টিকিট পান না।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, রেলের আইন মেনেই এই কোটা ব্যবস্থা রাখা হয়। এটিতো নতুন নয়। আবার সবাইকে তো টিকিট দেওয়াও যাবে না। কেননা ট্রেনের স্বল্পতা আছে।

কোনো ধরনের তদবির রাখা হচ্ছে না বলে এক প্রশ্নে তিনি দাবি করেন।



মন্তব্য চালু নেই