কোকোর মামলায় আসামি হচ্ছেন খালেদা

ড্যান্ডি ডাইংয়ের ৪৫ কোটি টাকা ঋণ খেলাপের মামলার আসামি আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুতে, এ মামলায় আসামি হিসেবে তার মা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাম অন্তর্ভূক্ত হচ্ছে। আদালত এ সক্রান্ত আবেদনের শুনানির জন্য ১৬ মার্চ দিন ধার্য করেছেন।

প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক অংশীদারিত্ব মামলায় তার মা (খালেদা জিয়া) এবং স্ত্রী-কন্যাকে আসামি করার জন্য এরই মধ্যে আদালতে আবেদন করেছে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। আগামী সোমবার ঢাকার অর্থঋণ আদালত ১-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক রোকসানা বেগম হ্যাপির আদালতে আবেদনটির শুনানি হবার কথা রয়েছে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী জানান, ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক সিভিল মামলায় অভিযুক্ত কোনো ব্যক্তি মারা গেলে তার পরিবারকে অন্তর্ভূক্ত করতে হয়। সে অনুয়ায়ী ৮ মার্চ কোকোর মা খালেদা জিয়া, স্ত্রী শার্মিলা রহমান ও দুই কন্যাকে আসামি করার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে।

এ মামলার বিবাদীরা হলেন— বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, শামস্ এস্কান্দার, সাফিন এস্কান্দার, সুমাইয়া এস্কান্দার, শাহীনা ইয়াসমিন, বেগম নাসরিন আহমেদ, কাজী গালিব আহমেদ, শামসুন নাহার ও মাসুদ হাসান।

মামলার ১০ নম্বর বিবাদী মোজাফ্ফর আহমেদ মারা যাওয়ায় তার স্ত্রী শামসুন নাহার ও ছেলে মাসুদ হাসানকে এ মামলায় বিবাদী করা হয়।

জানা যায়, ১৯৯৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিবাদীরা ড্যান্ডি ডাইংয়ের পক্ষে সোনালী ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করেন। এরপর ওই বছরের ৯ মে সোনালী ব্যাংক বিবাদীদের আবেদনে উল্লেখ করা ঋণ মঞ্জুর করে।

২০০১ সালের ১৬ অক্টোবর বিবাদীদের আবেদনক্রমে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ তাদের সুদ মওকুফ করে। পরবর্তীতে বিবাদীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ব্যাংক এ ঋণ পুনঃতফসিলও করে। কিন্তু বিবাদীরা ঋণ পরিশোধ না করে বার বার কালক্ষেপণ করতে থাকেন।

২০১০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের পক্ষ থেকে ঋণ পরিশোধের জন্য বিবাদীদের চূড়ান্ত নোটিশ দেওয়া হলেও তারা কোনো ঋণ পরিশোধ করেননি।

এ অবস্থায় ২০১৩ সালের ২ অক্টোবর ৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা ঋণখেলাপের অভিযোগে ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখার সিনিয়র নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।

প্রসঙ্গত, এ বছরের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আরাফাত রহমান কোকো মারা যান।



মন্তব্য চালু নেই