কোকোর মরদেহ আনতে মালয়েশিয়া যাচ্ছেন নিকট আত্মীয়রা

প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরফাত রহমান কোকোর মরদেহ দেশে আনতে আজই মালয়েশিয়া যাচ্ছেন জিয়া পরিবারের নিকট আত্মীয়ের একটি প্রতিনিধিদল।

খালেদা জিয়ার ছোট ভাই ও কোকোর মামা শামীম ইস্কান্দারসহ আরো কয়েকজন নিকট আত্মীয় মালয়েশিয়া যেতে পারেন। তবে দেশে কবে আনা হবে এবং কোথায় দাফন করা হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে পারিবারিক বৈঠকের পর। এ প্রতিবেদন লেখার সময় ওই বৈঠক চলছিল।

আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর সংবাদে সমবেদনা জানাতে খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে আসতে শুরু করেছেন তার আত্মীয়-স্বজন ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা। ইতিমধ্যে গুলশান কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার মেজো বোন সেলিমা ইসলাম, সাঈদ ইস্কান্দারের স্ত্রী নাসরিন সাঈদ, ছোট ভাইয়ের বউ কানিজ ফাতেমা, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদ লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান ও মহিলা দলের নেত্রী রাবেয়া সিরাজ উপস্থিত হয়েছেন। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গুলশান কার্যালয়ের সামনে বাড়ছে মানুষের ভিড় ।

এদিকে, গুলশান কাঁচাবাজার জামে মসজিদ থেকে চার-পাঁচজন মাওলানাকে গুলশান কার্যালয়ে আনা হয়েছে। তারা সেখানে কোরআন তিলাওয়াত ও কোকোর রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করবেন।

শনিবার দুপুরে মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়াবন্ধ হয়ে মারা যান আরাফাত রহমান কোকো। তার বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর।

এ বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের জানান, শনিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে গেলে কোকোকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সেনানিবাসের বাড়ি থেকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে গ্রেফতার হন কোকো। ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরের দিন চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যান তিনি।

থাইল্যান্ড যাওয়ার পর গ্রেফতারি পরোয়ানা এড়াতে সেখান থেকে মালয়েশিয়ায় চলে যান কোকো। গত বছর বড় ভাই তারেক রহমান লন্ডন থেকে সিঙ্গাপুর গেলে সেখানে দুই ভাইয়ের সর্বশেষ দেখা হয়।



মন্তব্য চালু নেই