কে এই হুররাম?

সন্ধ্যা রাত হলেই অনেকে টেলিভিশন সেটের সামনে বসে যান। কোনোভাবেই মিস করতে চান না এ সময়ে প্রচারিত ‘সুলতান সুলেমান’ সিরিয়ালটি। সিরিয়ালের প্রতিটি পর্বে তুর্কী সম্রাজ্যের অজানা ইতিহাস জানার সুযোগ থাকে। সেইসঙ্গে পাত্র-পাত্রীদের সুঅভিনয় তো রয়েছেই। তবে দর্শকরা যাকে নিয়ে বেশি কৌতূহলী তিনি ‘হুররাম’। কাহিনিতে তার গুরুত্বপূর্ণ উপস্থিতির কারণেই হোক, অভিনয় কিংবা মুখশ্রীর কারণেই হোক হুররামে মজেছেন দর্শক।

হুররাম। দেখতে অনেকটা বিখ্যাত ‘টাইটানিক’ মুভির নায়িকা কেট উইন্সলেটের মতো। সিরিয়ালটিতে তার চরিত্র অনেকটা খলনায়িকার। তার ভেতরে সম্রাজ্ঞী হওয়ার ইচ্ছা সুতীব্র। দর্শক ইতিমধ্যে বলতে শুরু করেছেন, রূপের ফাঁদে ফেলে, সুকৌশলে সুলতানকে বসে আনার দারুণ অভিনয় করছেন তিনি। কিন্তু কে এই হুররাম? কী তার আসল পরিচয়?

হুররামের আসল নাম মেরিয়েম উজেরলি। ১৯৮৩ সালের ১২ আগস্ট জার্মানির ক্যাসেলে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব ও কৈশোর কেটেছে ক্যাসেলে। জার্মানিতে অপ্রধান চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে হুররাম (বাংলাদেশি দর্শকদের কাছে পরিচিত নাম) তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। তিনি মূলত তুর্কি-জার্মান অভিনেত্রী ও মডেল। ২০১০ সালে একটি ধারাবাহিকে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন তিনি। জার্মান টিভিতে সেটি প্রচারিত হয়। একই বছর ‘জার্নি অব নো রিটার্ন’ সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি।

অভিনয় জীবনে জনপ্রিয়তার সুবাদে মেরিয়েম বহু বিজ্ঞাপনে কাজের পাশাপাশি খ্যাতনামা ব্র্যান্ডের অ্যাম্বাসেডরের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১২ সালে তিনি জিকিউ তুরস্ক ম্যাগাজিন কর্তৃক ‘ওম্যান অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হন।

মেরিয়েম তুরস্কেও জনপ্রিয়। এই জনপ্রিয়তা তিনি অর্জন করেন ‘ম্যাগনিফিসেন্ট সেঞ্চুরি’তে অভিনয়ের মাধ্যমে। এই সিরিয়ালটিই ‘সুলতান সুলেমান’ নামে আমাদের এখানে প্রচারিত হচ্ছে। এই সিরিয়ালে অভিনয় করে তিনি সমালোচকদের প্রশংসা পান এবং গোল্ডেন বাটারফ্লাই পুরস্কারসহ একাধিক পুরস্কার লাভ করেন। তার অভিনীত চরিত্রটি এতটাই দর্শকপ্রিয় হয় যে তিনি বিশ্বব্যাপী ‘হুররাম সুলতান’ নামে পরিচিতি পান।

মেরিয়েমের ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, ৬১ দেশে তার ৪০০ মিলিয়ন ফ্যান রয়েছে। শুধু ফেসবুকেই রয়েছে তার ৩.৭ মিলিয়ন ফ্যান। সুলতান সুলেমানে অভিনয় সম্পর্কে মেরিয়েম উজেরলি বলেন, ‘হঠাৎ করেই একদিন ফোন বেজে ওঠার শব্দ পাই। শুটিংয়ের জন্য তুরস্কে আসার আমন্ত্রণ জানানো হয় আমাকে। আমি রাজী হয়ে যাই। এরপর শুটিংয়ের জন্য পাক্কা দুই বছর তুরস্কে এসে হোটেলেই থাকতে হয়েছে।’



মন্তব্য চালু নেই