কেয়ামত হলেও আমেরিকা জিএসপি দেবে না

শর্ত পূরণ করতে করতে রোজকেয়ামত হলেও আমেরিকা (যুক্তরাষ্ট্র) বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা দেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

বুধবার দুপুরে সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইনডেনটিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের (বিআইএএ) আইএসও সনদপ্রাপ্তি অবহিতকরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের অ্যাকশন প্ল্যান হয়। তাতে যুক্তরাষ্ট্র ১৬টি শর্ত জুড়ে দেয়। বলা হয়, শর্তগুলো পূরণ হলে বাংলাদেশ জিএসপি সুবিধা পাবে। আমরা ১৬টি শর্ত পূরণ করে তাদের রিপোর্ট জমা দেই। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এখনও জিএসপি সুবিধা দেয়নি। তাদের শর্ত পূরণ করতে করতে রোজকেয়ামত এসে গেলেও জিএসপি সুবিধা পাবে না বাংলাদেশ।’

গতকাল ইকোনোমিক রির্পোটার্স ফোরাম আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে যোগ দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা। এ সময় বাংলাদেশি পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আদায় প্রসঙ্গে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে শুল্ক বৈষম্য করা হচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক জিরো জিরো জিরো।’

বাণিজ্যমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, ‘গতকাল তিনি (রাষ্ট্রদূত) যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ ফলস স্টেটমেন্ট। এ ধরনের অসত্য বক্তব্য তিনি দিতে পারেন না। আমেরিকার বাজারে পণ্য রপ্তানি করতে আমরা ১৬.৮ শতাংশ শুল্ক দিয়ে থাকি। গত ৫ বছরে আমেরিকাকে আমরা ৩ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার শুল্ক দিয়েছি। শুল্ক দেওয়ার কারণে আমাদের রপ্তানিকারকরা পণ্যের কম দাম পেয়ে থাকেন।’

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমেরিকা বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা দিলে বাণিজ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশ খুব বেশি সুবিধা পাবে না। মাত্র ২৪ টি আইটেমের ওপর জিএসপি সুবিধা পাবে। আর এই জিএসপি সুবিধা নিয়ে একের পর এক শর্ত আরোপ করছে তারা।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছে। বিশ্বের ১১টি দেশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সমৃদ্ধশালী হচ্ছে। এর মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। বিশ্ববাসীও বলছে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন সামাজিক খাতে ভারতের চেয়েও এগিয়ে। শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার ভারতের চেয়ে আমাদের কম। ভারতের চেয়ে আমাদের গড় আয়ু ও নারীর ক্ষমতায়ন অনেক বেশি। যারা একদিন বাংলাদেশকে ঝুড়িবিহীন দেশ বলেছিল, আজ তারাও বলছে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’

বিআইএএর প্রেসিডেন্টকে এমএইচ শহীদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আকরাম উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন, ঢাকা চেম্বার সভাপতি শাহাজাহান খান প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই