ঝালকাঠির কিছু খবর

কেন্দ্র ঘোষিত জেলা যুবদল ও ছাত্রদলের কমিটি মানে না ওমর

ঝালকাঠি জেলা সভাপতি ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর সমর্থিতদের নিয়ে করা বিএনপির প্রতিনিধি সম্মেলনে তার অনুগতদের দিয়ে জেলা যুবদল ও ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করায় ওমর বিরোধী গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।ওমরের এক নায়কতন্ত্রের বিরোধী জেলা বিএনপির নেতাদের কাছে প্রতিনিধি সম্মেলনা গোপন করে উল্টো তাদের ‘ইদুর-বিড়াল বলে তিরস্কার করায়’ তারাও শাহজাহান ওমরকে দূর্নীদিবাজ ও ওয়ান ইলেভেনের মীরজাফর বলে আখ্যায়িত করেছে। পাশাপাশি ওমর তার বক্তব্যে ছাত্রদল-যুবদলের ‘কেন্দ্র ঘোষিত কমিটি তিনি মানেন না ঘোষনা করে’ তার গঠিত কমিটি’ই বৈধ কমিটি বলে সদম্ভ ঘোষনা করলে প্রধান দুটি অংগসংগঠনের জেলা-উপজেলা থেকে কেন্দ্রীয় কমিটিতেও তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। যে কারনে সারাদেশে সাংগঠনিক ঐক্য বৃদ্ধি ও সরকার পতন আন্দোলন সফল করতে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক কমিটির নির্দেশে এ প্রতিনিধি সম্মেলন করলেও ঝালকাঠি বিএনপির গ্রুপিং আরো জটিলতা আকার ধারন করেছে বলে ওমর বিরোধী বিএনপি নেতাকর্মীরা অভিযোগ করছে। জেলা বিএনপির দুগ্রুপের নেতাদের সাথে আলাপ কালে জানা যায়, ২৩ ডিসেম্বর জেলা বিএনপির প্রতিনিধি সম্মেলন নির্ধারন করে জেলা সাধারন সম্পাদক মনিরুল ইসলাম নুপুর ও সভাপতি ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর ২২ তারিখ ঢাকা থেকে রওয়ানা হয়। তারা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে তাদের অনুগত নেতাদের প্রতিনিধি সম্মেলনে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ দেয়। কিন্তু ওমর বিরোধী জেলা বিএনপির উপদেষ্টা কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জেবা আমিন খান ও মাহাবুবুল হক নান্নু সহ জেলা যুবদল-ছাত্রদলের কেন্দ্র অনুমোদিত কমিটির নেতাদের উপেক্ষা করে। আর এ সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেস্টা ও ড্যাব এর মহাসচিব ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকেন। প্রতিনিধি সম্মেলনের ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর তার বক্তব্যে বলেন, ঝালকাঠি বিএনপিতে তার সিদ্ধান্তই চুরান্ত। এর বাইরে কিছু ‘ইদুর-বিড়াল ছুটাছুটি করে আবার তাড়া খেয়ে গর্তে ডুকে তাই এতে কিছু যায় আসেনা। তাকে না জানিয়ে কেন্দ্রীয় ছেলেপেলেদের গঠিত যুবদল ও ছাত্রদলের কমিটির স্থান ঝালকাঠি বিএনপিতে নেই। একথা আমি ম্যাডামকেও (খালেদা জিয়া) জানিয়ে দিয়েছি। তিনি বলেন, জেলা যুদলের সভাপতি বাপ্পী ও সেক্রেটারী তুহিন আর ছাত্রদলের সভাপতি সাজু। এরাই চুরান্ত এর বাইরে যারা আছে তাদের আমি তো মানিনা আপনারাও মানবেন না।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির উপদেষ্টা কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জেবা আমিন খান বলেন, সরকার বিরোধী আন্দোলন সফল করতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি টিমের সদস্য হলেও আমাকে প্রতিনিধি সম্মেলনের বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। ম্যাডাম গ্রুপিংয়ের সমাধান করে স্থানীয় বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষে প্রতিনিধি টিম গঠন করলেও দুএক নেতার সেচ্ছাচারীতা ও ব্যক্তিস্বার্থের কারনে সমস্যা সমাধানের চেয়ে আরো জটিল রুপ ধারন করছে।
জেলা বিএনপির উপদেষ্টা কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহাবুবুল হক নান্নু বলেন, শাহজাহান ওমর আমাদের না জানিয়ে তার অনুগত পকেট কমিটির লোকজন নিয়ে এ ধরনের সভা করে দলকে আরো ক্ষতিগ্রস্থ করছে। শুধুমাত্র শাহজাহান ওমরের কারনে বিএনপির ঘাঁটি ঝালকাঠিতে বিএনপি ও অংগসংগঠনগুলো গ্রুপিংয়ে জর্জরিত। রাজপথে কোন মিছিল মিটিং বা আন্দোলন সংগ্রমা করতে পারছেনা।
অন্যদিকে জেলা যুবদল সাধারণ সম্পাদক শামীম তালুকদার ও জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাফায়াত হোসেন সরদার স্বাক্ষরিত পৃথক বিবৃতিতে জানায়, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মনোনীত কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারাই জেলা যুবদল-ছাত্রদলের কমিটি গঠনের এখতিয়ার প্রাপ্ত। দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অঙ্গসংগঠনের কমিটি গঠনের এখতিয়ার জেলা বিএনপি বা শাহজাহান ওমরের নেই। বিবৃতিতে শাহজাহান ওমরকে দূর্নীতি মামলা থেকে বাঁচতে সরকারের এজেন্ট হিসাবে কাজ করার দায়ে অভিযুক্ত করে জেলা যুবদল-ছাত্রদলের নেতৃবৃন্ধ বলেন, দলের চেইন অফ কমান্ড লংঘন করে শাহজাহান ওমর যদি সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত হয় তাহলে ওমর ও তার অনুসারীদের ঝালকাঠিতে অবাঞ্চিত ঘোষনা করে প্রতিরোধ করা হবে।
ঝালকাঠির রাজাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ নিহত : মামলা দায়ের,‘চালকের বেপরোয়া গতি ও অপ্রতুল সংকেতিক চিহ্নের কারন’ই দায়ী’ ধারনা তদন্ত কমিটির সদস্যদের
ঝালকাঠির রাজাপুরের বিশ্বাসবাড়ির বাস দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহতের ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য বাদী হয়ে চালকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও ৪ তদন্ত কমিটি গঠিন করা হয়েছে। ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক মোঃ সাখাওয়াত হোসেন দূর্ঘটনার কারন অনুসন্ধানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সৈয়দ রাশেদুল হোসেনকে প্রধান করে এ তদন্ত কমিটি গঠণ করেন।
2বুধবার দুপুর ১২টার দিকে তদন্ত দলটি দুর্ঘটনাস্থলে পৌছে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়া গাড়ি ও স্থান পরিদর্শন করেন। ৩ কার্যদিবসের মধ্যে রির্পোট প্রদানের জন্যও তদন্ত কমটিকে সময় বেধে দেয়া হয়। তদন্ত কমিটি প্রাথমিক ভাবে চালকের বেপরোয়া গতি ও সড়ক বিভাগ সহ সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের অপ্রতুল সতর্ককরন সংকেত বা চিহ্নের কারনেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ধারনা করেন। পরে তদন্ত কমিটি দুর্ঘটনা স্থলের প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় দোকানদার সালাম, উত্তম বেপারীর স্ত্রী তৃষ্ণা বেপারী, রিক্সা চালক ছাবেরের কাছ থেকে ঘটনা শুনেন।
তদন্ত কমিটির কাছে প্রত্যক্ষদর্শীদের দেয়া বর্ননায় বলেন, গাড়িটি দ্রুত গতিতে বেপরোয়াভাবে এসে বিকল্প সড়কে না গিয়ে উড়ে এসে সরাসরি নির্মানাধীন ব্রীজের পিলারের উপড়ে আচড়ে পড়ে উল্টে গিয়ে দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে আটকে পড়ে। তাছাড়া অন্য একটি বাসকে ওভারটেক করে বেপরোয়া গতিতে গাড়িটি এসে এ দুর্ঘটনায়ি পড়ে। গাড়িটিতে অর্ধশতাধিক যাত্রী ছিল এবং গাড়ির ছাদেও মানুষ ও মালামাল ছিল।
তদন্ত কমিটির সদস্য বিআরটিএর বরিশাল বিভাগীয় সহকারি ইন্সপেক্টর শাহ আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে বলেন, নির্মানাধীন ব্রীজের কাজ চলছে বা বিকল্প সড়কের কোন সংকেতিক চিহ্ন ছিল না। আর সামান্য যে সংকেতিক চিহ্ন দেয়া রয়েছে তা চোখে পড়ার মত নয় এবং চালকের বেপরোয়া গতিও এ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। তাছাড়াও মহাসড়ক বা আঞ্চলিক সড়কে নির্মান কাজ চললে রাতের অন্ধাকার নেমে এলে আলোকবাতি দিয়ে চিহ্নিত করার নিয়ম থাকলেও এখানে সেধরনের কোন ব্যবস্থা ছিলনা।
কমিটির প্রধান ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সৈয়দ রাশেদুল হোসেন বলেন, এ দুর্ঘটনার প্রকৃত কারন উদঘাটন করে ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনা এড়ানো যায় সে বিষয়ে আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করা হবে। এ কমিটিতে সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (সার্কেল) আখম আনোয়ার হোসেন খান ও সড়ক ও জনপদের এসডিও গাউসুল হাসান মারুফ রয়েছেন। এ দিকে এ দুর্ঘটনার পর গতকাল বুধবার দুপুরে দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে সংযোগ সড়কে নতুন করে বাঁশ পুতে ও লাল নিশান টানিয়ে দেয়া হচ্ছে।
মামলার বিষয়ে রাজাপুর থানার ওসি মাসুদুজ্জামান জানান, গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে স্থানীয় ইউপি সদস্য তৌহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে ওই গাড়িটির অজ্ঞাত চালকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে। তবে চালক বেঁেচ আছে নাকি নিহত হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। রাত সাড়ে নয়টার দিকে পুলিশ এবং সড়ক ও জনপদের ক্রেন দিয়ে বাসটি উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত ১০ জনের সকলের পরিচয় পাওয়া গেছে এবং ইতিমধ্যে নিহতদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অপরদিকে রাজাপুর, ঝালকাঠি এবং বরিশাল হাসপাতালে চিকিৎসারত আহতদের অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে হাসপাতাল সুত্র জানিয়েছে। তবে দূর্গটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে চিকিৎসাধীন কেউ নিহত হয়নি।
এব্যাপারে বিকল্প সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী কয়েকজন গাড়ি চালক অভিযোগ করেন, এই স্থানে যে কোন ব্রীজ নির্মান কাজ চলে বা কোন বিকল্প সড়ক দিয়ে যেতে হবে তার কোন সংকেত নেই। একই অভিযোগ করে এলাকাবাসী জানায়, ১০ প্রান ঝড়ে যাওয়ার পর দায় এড়াঁতে বুধবার সকালে ঠিকাদারের লোকজন বেশ কিছু লাল নিশান ও দুই পাড়ে রাস্তার মাঝে দুটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দায়িত্বহীনতা এড়াতে চাচ্ছে।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি সড়ক ও জনপদের নির্বাহি প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান দাবি করে বলেন, নির্মানাধীন ব্রীজ এলাকায় তাদের নিয়ামানুযায়ী সকল ধরনের সাংকেতিক চিহ্নসহ অন্যান্য সতর্কমূলক ব্যবস্থা ছিল কিন্তু তিনি নিজে দেখেছেন কিনা জানতে চাইলে কোন সদুত্তোর দিতে পারেনি।

নেপথ্যে ভূমিদস্যু চক্রের অর্থ ও থানা পুলিশের এক কর্মকর্তার আক্রোশ
ঝালকাঠির নলছিটিতে মাদক-জাল টাকা উদ্ধার নাটকে গ্রেপ্তারকৃত স্কুলছাত্রীর ১৬ দিন পর জামিন লাভ
ঝালকাঠি নলছিটির ছাত্রলীগ কর্মী মার্সেন্ট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী সুমাইয়া আক্তর রিমি (১৫) জাল টাকা ও মাদক উদ্ধারের কথিত ঘটনায় গ্রেপ্তারের ১৬ দিন কারাবাসের পর ২৪ ডিসেম্বর জামিনে জেলহাজত থেকে মুক্তি লাভ করেছে। বুধবার সন্ধ্যায় অসহায় স্কুলছাত্রী রিমি ও আর তার দরিদ্র মা নার্গিস চৌধুরী তাদের আইনজীবী এ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন কবির ও সাংবাদিকদের সাথে সাক্ষাৎ করে ঘটনার বিস্তারিত বর্ননা দেয়। তারা ভূমিলোভী রুনু চৌধুরী ও নলছিটি থানার ওসি আবু খায়েরের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজি সহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ ও তদন্ত পূর্বক সুবিচারের আবেদন জানাবেন বলে জানায়।
25. এ ব্যাপারে অসহায় স্বামী পরিত্যাক্তা নার্গিস বেগম অভিযোগ করেন, প্রায় একযুগ পূর্বে স্বামী জাকির হোসেন শিশু মেয়েটি সহ তাকে ফেলে নিরুদ্ধেশ হলে শিশু মেয়ের মুখের দিক চেয়ে বাবার বাড়ীতে আশ্রয় নেই। তার ভাইয়েরা ঢাকা সহ বিভিন্ন স্থানে প্রতিষ্টিত হওয়ায় বাবার বাড়ীর প্রায় ১০/১২ বিঘা সম্পত্তি দিয়ে কোন রকম জীবন চালান। এক প্রকার পুরুষ অভিভাবকহীন হওয়ায় তাদের আত্মীয় রুনু চৌধুরী তাদেরকে ভিটামাটি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য অমানুষিক অত্যাচার ও নির্যাতন চালিয়ে আসছে।
এ ব্যাপারে জামিনে মুক্তি পাওয়্ াকিশোরী সুমাইয়া আক্তর রিমি জানায়, নলছিটি থানার ওসি মোটা টাকার বিনিময়ে ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে প্রতিপক্ষদের দিয়ে এসব অবৈধ মালামাল রেখে মিথ্যা মামলা দুটি দায়ের করা হয়েছে।চলতি বছর এপ্রিল মাসে আমার মা নারগিস চৌধুরী কে রুনু চৌধুরী ও তার সহযোগীরা গুম করলে আমি বাদী হয়ে ২৯ এপ্রিল তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি। সে মামলায় পুলিশ চুরান্ত প্রতিবেদন দিলে আমি আদালতে নারাজি ও ১৬৪ ধারার জবানবন্দি বাতিল আবেদন করি।যে কারনে আসামীরা নিজেদের বাঁচাতে ও আমাকে মামলা থেকে হটাতে ষড়যন্ত্রে নীলনকশা আকে এবং নলছিটি থানার এসআই আমিনুল ইসলাম ও ওসি আবুল খায়েরের সাথে আতাঁত করে এ মিথ্যা-বানোয়াট মামলায় আমাকে গ্রেপ্তার করায়।
রিমির বিষয়ে নলছিটি মার্সেন্ট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানায়, সুমাইয়া আক্তর রিমি তার বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর নিয়মিত ছাত্রী এবং সে আগামী ২০১৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী। সে বিদ্যালয় টেষ্ট পরীক্ষায় ভালো ভাবে উত্তীর্ন হয়েছে ও বিদ্যালয়ে চলাকালে তার আচার-আচারন সন্তোষ জনক। বৃহস্পতিবার তার মা বিদ্যালয়ে আবেদন জানালে কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে তার প্রত্যয়নপত্র প্রদান করেছে। জনৈক রুনু চৌধুরী বিদ্যালয়ে তার কাছে এসে রিমিকে প্রত্যয়নপত্র না দেয়ার জন্য অনৈতিক প্রস্তাব ও বিভিন্ন ভাবে তদবীর করলেও আমরা অনড় ছিলাম।
প্রসঙ্গত, নলছিটি থানার এসআই আমিনুল ইসলাম ৮ ডিসেম্বর সোমবার সকাল ৭ টায় নলছিটি শহরের অনুরাগ গ্রামের নার্গিস বেগমের বসত ঘরে তল্লাশী করে একটি ব্যানিটি ব্যাগে রক্ষিত পাঁচশত টাকা ১০ টি, একশ টাকার ৫টি, এক হাজার টাকার একটি জাল নোট, ৫০ গ্রাম গাঁজা ও এক বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার ও সুমাইয়া আক্তর রিমিকে আটক করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ওসি আবুল খায়ের সাংবাদিকদের জানায়, রিমিকে গ্রেপ্তারের পর উর্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ক্রমে পুলিশ বাদি হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। রিমি ও তার মাকে চরিত্রহীন উল্লেখ করে তিনি তাদের সম্পর্কে স্থানীয় গন্যমান্যদের কাছে খোজখবর নিতেও সাংবাদিকদের উৎসাহীত করেন।



মন্তব্য চালু নেই