কেন্দ্রীয় কারাগারে থমথমে পরিবেশ, নিরাপত্তা জোরদার

জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যু পরোয়ানা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছানোর পর সেখানে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। সাধারণ বন্দিদের সঙ্গে আত্মীয়স্বজনদের সাক্ষাতের ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। যদিও এ ব্যবস্থাকে স্বাভাবিক বলে দাবি করেছে কারাগার কর্তৃপক্ষ।

এদিকে মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর নিয়ে জনগণের মধ্যে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে।

পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, কামারুজ্জামানকে ফাঁসিতে ঝোলাতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। শুধু সরকারের সবুজ সংকেতের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। কোন প্রক্রিয়ায় কবে ফাঁসি হবে তাও নির্ধারণ করা হয়েছে।

পুলিশের অপর একটি সূত্র জানায়, কামারুজ্জামানকে ফাঁসি দিতে রিভিউ সময় পর্যন্ত অবশ্যই অপেক্ষা করবে সরকার। এমন আভাসই দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। সরকার ফাঁসির রায় কার্যকরের প্রস্তুতি নিলেও এ মাসে যে ফাঁসি হচ্ছে না, এমনটাই জানায় ওই সূত্র।

অন্যদিকে কারাগারের একটি সূত্র বলছে, কামারুজ্জামানকে বৃহস্পতিবার রাতে কোনোভাবেই ফাঁসিতে ঝোলানো হবে না। কারণ, কারাগারে যে প্রস্তুতির প্রয়োজন রয়েছে তা নেওয়া হয়নি। তা ছাড়া পুরো কারাগারে কয়েক দিন আগেই রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়। তবে তা এখনো হয়নি। সূত্রটি আরো জানায়, সেই জল্লাদ শাহজাহানই কামারুজ্জামানের ফাঁসির রশি টানবেন। সঙ্গে আরো কয়েকজন জল্লাদ থাকবেন।

তা ছাড়া কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে যেসব পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন তারা জানান, কারাগারের বাড়তি নিরাপত্তা বিধানের জন্যই পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ফাঁসির ব্যাপারে তারাও স্পষ্ট কিছু ধারণা দিতে পারেননি।

কারাগারের অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, কারাগারের অন্য বন্দিরাও কামারুজ্জামানের মৃত্যু পরোয়ানার বিষয়টি জানতে পেরেছেন। তাই কারাগারের ভেতরেও জেল পুলিশের কড়া পাহারা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে কামারুজ্জামানের মৃত্যু পরোয়ানা কারাগারে এসে পৌঁছায়। এর পরেই কারাগার এলাকায় নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়। কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী জানিয়েছেন, ‘কামারুজ্জামানের মৃত্যু পরোয়ানার কপি তারা পেয়েছেন। কামারুজ্জামানকে রায় পড়ে শোনানো হয়েছে। তিনি তার আইনজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছেন।’

এদিকে কারাগারের প্রধান ফটক ও আশপাশের এলাকায় পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে। সাধারণ বন্দিদের সঙ্গে সাক্ষাতের ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। তবে ফরমান আলী এই বিষয়কে স্বাভাবিক বলে দাবি করেছেন।

রায় কার্যকরের বিষয়ে সিনিয়র জেল সুপার বলেন, ‘মৃত্যু পরোয়ানা কপিতে যেভাবে বলা আছে, ঠিক সেভাবেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’



মন্তব্য চালু নেই