কুড়িগ্রাম সোনাহাট স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন চালু না হওয়ায় ভোগান্তিতে ব্যবসায়ীরা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামে বঙ্গসোনাহাট স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন চালু না হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। বন্দরটি চালুর পর পণ্য আমদানী শুরু হলেও ইমিগ্রেশন চালু না হওয়ায় প্রায় ৪ শ’ কিলোমিটার পথ ঘুরে পাশর্^বর্তী লালমনিরহাট জেলা দিয়ে যেতে হয় ভারতে। ফলে আর্থিক ক্ষতি, সময় ও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাদেরকে। সোনাহাট ইমিগ্রেশন চালু হলে ২৪ কিলোমিটার পথ পরিক্রম করলেই ভারতে যাওয়া যায়। এ অবস্থায় ক্ষতির দিক বিবেচনা করে ব্যবসায়ীরা মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে।

বর্তমান সরকারের আমলে ২০১৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে পণ্য আমদানী শুরুর মধ্য দিয়ে দেশের ১৮তম স্থলবন্দর বঙ্গসোনাহাট চালু করা হয়। এতে এ অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের ৪শ কি.মি’র স্থলে মাত্র ২৪কি.মি পথ পরিবহণ করে পণ্য আমদানির সুযোগ ঘটে। এরফলে সংযোগ ঘটে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সেভেন সিস্টারখ্যাত রাজ্যগুলোর ব্যবসায়ীদের সাথে। ফলে সড়ক পথে সৃষ্টি হয় দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্যের প্রসার। কিন্তু বন্দরটিতে ইমিগ্রেশন চালু না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা ভারত যেতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সবসময়। লালমনিরহাট বুড়িমারি স্থলবন্দর দিয়ে ৪শ কি.মি. পথ ঘুরে যাওয়া-আসাতে আর্থিক এবং সময়ের ক্ষতিতে পড়ছে এখানকার ব্যবসায়ীরা। বঙ্গসোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে ইমিগ্রেশন চালু হলে পর্যটকরা অল্প সময়ে ও কম খরচে ভারতে যেতে পারবে। মাত্র ৩৫ কি.মি পথ পাড়ি দিলেই ভুটান যাওয়া যায়। এছাড়াও চিকিৎসা সুবিধা পাবে স্থানীয়রা।

আমদানীকারক আব্দুস সবুর মন্ডল ও মাসুদ আলম জানান, নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বঙ্গসোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে শীঘ্রই ইমিগ্রেশন চালুর কথা বলেছেন। আমরা এ প্রতিশ্রুতির দ্রুত বাস্তবায়ন চাই। স্থলবন্দরটিতে ইমিগ্রেশন চালু হলে আরো উন্নয়নের পাশাপাশি ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে এ জেলার মানুষদের।

কুড়িগ্রাম সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোশিয়নের সাধারণ সম্পাদক সরকার রকীব আহমেদ জুয়েল জানান, হতদরিদ্র এ জেলার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে স্থলবন্দরের পাশাপাশি ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা চালু হলে সরকার পাবে রাজস্ব। সেই সাথে সুযোগ হবে ব্যাপক কর্মসংস্থানের। ফলে জেলার উন্নয়ন চিত্র পাল্টে যাবে।

এ ব্যাপারে বঙ্গসোনাহাট স্থলবন্দরের সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা শিকদার গোলাম সারোয়ার জানান, এই শুল্ক স্টেশন দিয়ে ইমিগ্রেশন চালুর বিষয়ে ভারত-বাংলাদেশের কাস্টমস কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা চলছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের মাধ্যমে বঙ্গসোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে ইমিগ্রেশন দ্রুত চালু হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।



মন্তব্য চালু নেই