কুড়িগ্রামে অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধা মালেকের পাশে দাড়ালেন জেলা প্রশাসক

কে,এম, গোলাম রব্বানী, কুড়িগ্রাম : ‘বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক’ শিরোনামে বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হওয়ায় অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে এসে নগদ অর্থ প্রদানসহ চিকিৎসার ভার গ্রহনের কথা জানান কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক খান মোঃ নুরুল আমিন।

সোমবার সন্ধ্যায় কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক খান মোঃ নুরুল আমিন, কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ জয়নাল আবেদীন, নাগেশ্বরী উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার আবু রায়হান দোলন ও ডাঃ স্বপন কুমার বিশ্বাস নাগেশ্বরী উপজেলার ৯নং ভিতরবন্দ ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে মৃত্যু পথযাত্রী মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেকের বাড়ীতে তাকে দেখতে যান। এসময় জেলা প্রশাসক অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী হাবিজন বেগমের হাতে নগদ ১০হাজার টাকা তুলে দেন। এছাড়াও অসুস্থ্য মুক্তিযোদ্ধা আাব্দুল মালেককে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে উন্নত চিকিৎসা করার যাবতীয় ব্যয়ভার গ্রহন করার কথাও জানান তিনি।

উল্লেখ্য ১৯৭১ সালে এসএমজি হাতে রনাঙ্গনের অকুতো ভয় লড়াকু বীর মুক্তিযোদ্ধার আব্দুল মালেক বিনা চিকিৎসায় জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে। আব্দুল মালেকের মুক্তিবার্তা নম্বর-০৩১৬০৬০২৭২। গেজেট নম্বর-২৩২৫। কল্যান ট্রাষ্ট নং ৩৯৪৮৭ এবং মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয় থেকে সাময়িক সনদ পত্র নং৬৬৮৭১।

মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেকের স্ত্রী হাবিজন বেগম বলেন, জেলা প্রশাসক বাড়ীতে এসে আমার অসুস্থ স্বামীকে দেখেন এবং নগদ ১০ হাজার টাকা আমার হাতে তুলে দেন। এতদিন টাকার অভাবে স্বামীর চিকিৎসা করতে পারি নাই। এখন সরকার দায়ীত্ব নিয়েছে এ জন্য ডিসি স্যার ও সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। মঙ্গলবার স্বামীকে নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার কথা জানান তিনি।

হৃদরোগে আক্রান্ত আব্দুল মালেকের দীর্ঘ মেয়াদী চিকিৎসা দরকার। হাবিজন বেগম বলেন, প্রতিমাসে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ৮হাজার টাকা পাই। তাই দিয়ে অতি কষ্টে সংসার চালাই। জমি জমা বলতে শুধু ৬শতাংশ ভিটাবাড়ী ছাড়া কিছু নেই।

ভিতরবন্দ মুক্তযোদ্ধা ইউনিয়ন কমান্ডার নাজিমুদ্দিন বলেন, ডিসি স্যার অসুস্থ মালেকের বাড়ীতে এসে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্মান করেছেন।
উপজেলা ডিপুটি কমান্ডার নান্টু মিয়া বলেন, অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেককে নগদ টাকা প্রদান ও চিকিৎসার ভার নিয়ে জেলা প্রশাসক মহতেœর পরিচয় দিয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই