কুমিল্লায় পুলিশের ধাওয়ায় যুবক নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

কুমিল্লায় পুলিশের ধাওয়ার মুখে দুর্ঘটনায় রাসেল নামের এক যুবক নিহতের ঘটনা তদন্তে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কুমিল্লা পুলিশ সুপারের নির্দেশে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) আবদুল্লাহ আল মামুনকে প্রধান করে তিন সদস্যের এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, নিহত রাসেলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে পুলিশ তার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে। নিহত রাসেল নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার ভীমপুর গ্রামের মৃত সফিউল্লার ছেলে।

এর আগে শুক্রবার সকালে জেলার আদর্শ সদর উপজেলার বালুতুপা বাজার সংলগ্ন চাঁপাপুর এলাকায় জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার টহল টিমের ধাওয়ার মুখে পড়ে মোটরসাইকেল আরোহী রাসেল নিহত হন।

রাসেলের মৃত্যুর জের ধরে স্থানীয় উত্তেজিত জনতা পুলিশের ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ সময় ক্ষুব্ধ জনতা পুলিশ কনস্টেবল খোরশেদ আলম (৪৮), মিজানুর রহমান (৪৭) ও কামাল উদ্দিনকে (৫৫) আটক করে মারধর করে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আটককৃত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান, পুলিশের একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের দুর্ঘটনাজনিত কারণে মোটরসাইকেলের আরোহীদের মধ্যে রাসেল নামের একজনের মৃত্যু হয়। পরে উত্তেজিত জনতা মাইক্রোবাসটিতে অগ্নিসংযোগ করে।

কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন জানান, এ ঘটনায় পুলিশের কোনো গাফিলতি ছিল কি না এবং কোন অবস্থার প্রেক্ষিতে পুলিশ সদস্যদের আটক করে মারধর করা হয় তা তদন্ত করতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই