কুমিল্লার জনসভায় ভাষণ দিচ্ছেন তারেক!

আজ শনিবার বিকাল ৩ টায় ২০দলীয় জোটের উদ্যোগে আয়োজিত জনসভায় কুমিল্লা টাউন হল মাঠে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে।

দুপুর সোয়া একটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিল ধারণের ঠাঁই নেই কুমিল্লা টাউন হল মাঠে। জনসভাস্থলের দিকে ঢোল, ভুভুজেলা বাজিয়ে মিছিল সহকারে আসছে বিএনপি নেতা-কর্মীরা। জনসভাস্থলে বেলুন ফেস্টুনে উৎসবের আবহ সৃষ্টি হয়েছে। মহানগরীর মোড়ে মোড়ে পুলিশ ও বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা অবস্থান নিয়েছে।

এদিকে এই উৎসবমুখর পরিবেশে জনসভায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভাষণ প্রচার করা হচ্ছে। গ্রাম থেকে আসা অনেক কর্মী তারেক রহমান মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন কিনা তা দেখার চেষ্টা করেন। একজন অন্যজনকে বলতে শোনা যায়, তারেক রহমান আবার কোন সময় এলো?

এদিকে এখনও খালেদা জিয়া কুমিল্লা সার্কিট হাউজে এসে পৌঁছাননি। তিনি সেখানে বিশ্রাম নিয়ে বিকাল তিনটায় নিকটবর্তী টাউন হলের জনসভায় যোগ দেবেন।

নেতা-কর্মীদের সূত্র জানায়, সমাবেশে পাঁচ লক্ষাধিক লোকের সমাবেশ ঘটানোর প্রস্তুতি নিয়েছে কুমিল্লা দক্ষিণ ও উত্তর জেলা বিএনপি। খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে পুরো নগরী সেজেছে বর্ণিল সাজে। জনসভা নিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মাঝে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। সহস্রাধিক তোরণ, নানা রঙের পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ও প্লে-কার্ডে ঢেকে গেছে কুমিল্লা শহর।

এসব প্রচারণায় শোভা পাচ্ছে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবির পাশাপাশি স্থানীয় নেতাদের ছবি।index

প্রধান সড়ক ছাড়াও নগরীর অলিগলিসহ সর্বত্র একই দৃশ্য। মহানগরীর মতো ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে সদরের আলেখারচর পর্যন্ত ৫০কিলোমিটার এলাকায় দুই শতাধিক তোরণ তৈরি করা হয়েছে। অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সর্বশেষ কুমিল্লায় এসেছিলেন।

দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া জানান, টাউনহল মাঠে জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন খালেদা জিয়া। জনসভার সভাপতিত্ব করবেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান বেগম রাবেয়া চৌধুরী। ১৬ উপজেলার ১১টি সংসদীয় আসন থেকেই ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এ সমাবেশে যোগ দেবেন। সমাবেশস্থল ও নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে ২২৬টি মাইক এবং নগরীর ৬টি স্থানে বড় পর্দায় সমাবেশের অনুষ্ঠান দেখানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো জানান, জনসভায় কুমিল্লার লাকসামের অপহরণ হওয়া বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম হিরু, হুমায়ুন কবির পারভেজ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মোশাররফ হোসেনের মুক্তি এবং সরকার পতন আন্দোলনের বিষয়গুলো উপস্থাপিত হতে পারে।

দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি রাবেয়া চৌধুরী জানান, খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষে দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহের সৃষ্টি হয়েছে। আশা করা হচ্ছে এ জনসভা হবে কুমিল্লার ইতিহাসে সর্ববৃহৎ জনসভা। এ সভা থেকেই সরকার পতন আন্দোলন শুরু হবে।



মন্তব্য চালু নেই