কীভাবে বুঝবেন প্রেমিক ‘অপরিপক্ব’?

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের চিন্তা-চেতনায় পরিপক্বতা চলেই আসে। যাকে আমরা বলে থাকি ‘ম্যাচিউরিটি’। প্রকৃতিগতভাবে একজন ছেলের তুলনায় একজন মেয়ের মানসিক পরিপক্বতা আগে আসে। মেয়েরা অনেক কিছুই আগে বুঝতে পারে, যেটা ছেলেরা একটু দেরিতে পারে। তবে একটা বয়সের পর কিন্তু ছেলে বা মেয়ে উভয়েরই একটি মানসিক পরিপক্বতা আসে। যদি কোনো ছেলের সেটা না আসে, তাহলে কী করে বুঝবেন সে অপরিপক্ব? নিশ্চয় আপনি চান না, আপনার প্রেমিককে সবাই ‘শিশু’ বলুক? তাই চলুন দেখে নিই, কী উপায়ে আপনি বুঝবেন আপনার প্রেমিক বড় হয়েছেন, না এখনো সেই ছোট্ট বালকই রয়ে গেছেন। উপায়গুলোর কথা জানিয়েছে বোল্ডস্কাই।

শুধু বর্তমান নিয়ে ভাবনা

প্রেমিক কি শুধু বর্তমানে কী ঘটছে, তা নিয়েই মগ্ন থাকে? যদি দেখেন তিনি কোনো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করছেন না, তাহলে বুঝতে হবে তাঁর ভেতর পরিপক্বতার অভাব রয়েছে কিংবা সে সম্পর্ককে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। পরিপক্ব লোকেরা সব সময় ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে চলেন।

অতিরিক্ত মায়ের প্রতি আসক্তি

যদি কোনো পুরুষের মধ্যে অতিরিক্ত মায়ের প্রতি নির্ভরশীলতা লক্ষ করেন, তাহলে বুঝতে হবে তিনি এখনো মায়ের মমতার আঁচল থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি। আবার আপনার সঙ্গে ডেট করার পরিকল্পনা বাতিল করে যদি হঠাৎ মায়ের সঙ্গে বাজারে যান, তাহলে বুঝে নিন অপরিপক্বতার সবচেয়ে বড় লক্ষণ এটি।

অত্যন্ত আবেগপ্রবণ

আপনার সঙ্গী যদি অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ হয়, কোনো কিছু চিন্তা না করেই সিদ্ধান্ত নেয় এবং পরে ক্ষমা চায়, তাহলে বুঝতে হবে তাঁর ভেতরে এখনো শিশুসুলভ আচরণ রয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ কথোপকথন এড়িয়ে যাওয়া

ভালো-মন্দ, দোষ-গুণ নিয়েই মানুষের জীবন। প্রেমিকের অপরিপক্ব কার্যকলাপ সম্বন্ধে আলোচনা করার সময় তিনি যদি তা উপেক্ষা করেন, তাহলে ধরে নিতে হবে তাঁর মধ্যে জ্ঞানের এবং পরিপক্বতার অভাব রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই