কীভাবে প্রার্থী হবেন সিটি নির্বাচনে

নির্বাচন কমিশন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নির্বাচনের তফসিল গত বুধবার ঘোষণা করেছে।

তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৮ এপ্রিল মঙ্গলবার ভোট গ্রহণ করা হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৯ মার্চ। ১ ও ২ এপ্রিল বাছাই ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৯ এপ্রিল।

সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য প্রার্থীদের করণীয় বিষয় তুলে ধরা হল।

ভোটার তালিকার সিডি ও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ: আগ্রহী প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় সাধারণ ওয়ার্ড ভিত্তিক ছবি ছাড়া ভোটার তালিকার সিডি ৫০০ টাকার চালান বা পে-অর্ডার জমা দিয়ে রিটার্নিং অফিসারের নিকট হতে সংগ্রহ করতে হবে।

ব্যাংক হিসাব খোলা:
১। মনোনয়নপত্র দাখিলের পুর্বে প্রার্থীকে যে কোন তফসিলী ব্যাংকে একটি নতুন একাউন্ট খুলতে হবে, যার নম্বর ব্যাংকের শাখার নাম মনোনয়নপত্রে উল্লেখ করতে হবে।

২। নির্বাচনের সমুদয় ব্যয় এই একাউন্ট নম্বর থেকে করতে হবে।

৩। নির্বাচনের পর ব্যয়ের যে রিটার্ন জমা দিতে হবে তার সঙ্গে উক্ত একাউন্টের ব্যাংক স্টেটমেন্টও জমা দিতে হবে।

মনোনয়নপত্র : প্রার্থী বা তার প্রস্তাবক বা তার সমর্থক রিটার্নিং অফিসারের নিকট মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারবেন। মনোনয়নপত্রের সঙ্গে হলফনামা দাখিল করতে হবে।

মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিল : আইনের বিধান অনুসারে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিলের সময় কোন প্রকার মিছিল বা শো-ডাউন করা যাবে না।

জামানত : ১৫ হাজার ভোটার সম্বলিত ওয়ার্ডের জন্য সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা জামানত দিতে হবে। এছাড়া ১৫ হাজার এক থেকে ৩০ হাজার ভোটার হলে ২০ হাজার টাকা, ৩০ হাজার এক থেকে ৫০ হাজার ভোটার হলে ৩০ হাজার টাকা এবং ৫০ হাজারের বেশি ভোটার হলে ৫০ হাজার টাকা জামানত দিতে হবে। জামানত প্রদানের প্রমাণস্বরূপ ট্রেজারি চালান বা পে-অর্ডার বা কোনো তফসিলি ব্যাংকের রশিদ জমা দিতে হবে।

সংরক্ষিত নারী আসন (জামানত) : সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রতিটি মনোনয়নপত্রের সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জামানত দিতে হবে।

মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল : মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও বাতিল উভয়ের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে। বাছাইয়ের পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ প্রার্থী কোন ব্যাংক বা কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করতে পারবেন।

প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা : নির্বাচনী আইন বিধিমালা বা আচারণ বিধিমালা ভঙ্গের ক্ষেত্রে প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের আছে। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আচারণ বিধিমালা ২০১০ কার্যকর রয়েছে। বিধিমালা অনুযায়ী আচরণবিধি লংঘন দণ্ডনীয় অপরাধ।

মোবাইল ফোন : ভোট গ্রহণের দিন দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা ব্যতিত কেউ ভোটকেন্দ্রে বা ভোটকক্ষে কোন মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না।

প্রসঙ্গত, এর আগে তফসিল ঘোষণার দিন কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে নির্বাচনী প্রচারে লাগানো বিলবোর্ড নামিয়ে ফেলতে হবে। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সিইসি বলেন, মূলত সিটি নির্বাচন একটি নির্দলীয় নির্বাচন। তাই দলগুলোর কাছে আহ্বান করছি, আপনারা নির্বাচনটা স্বতস্ফূর্তভাবে করতে দিন। ২০১৩ সালের চার সিটি নির্বাচনের মতো স্বতস্ফূর্তভাবে এ নির্বাচন হোক।

তিনি বলেন, প্রার্থীদের রাজনৈতিকভাবে সমর্থন দেওয়া হয়। কিন্তু তারা যেন নির্বাচনে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ রাখেন ভোটারদের কাছে। নির্বাচনী আচরণ বিধি কেউ যেন লংঘন না করে, সেটা আমাদের অবশ্যই খেয়াল করতে হবে।

তিনি বলেন, অন্যান্য নির্বাচনের মতো এবারও মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে ভোটার নম্বর ও ভোটকেন্দ্র জানানোর ব্যবস্থা থাকবে। ভোটারকে তার মোবাইল থেকে একটি নম্বরে মেসেজ পাঠিয়ে ভোটার নম্বর ও ভোটকেন্দ্র জেনে নিতে হবে।



মন্তব্য চালু নেই