কিসেঞ্জার: জীবন সঙ্গী বা সঙ্গিনী যেখানেই থাকুক চুমু দিতে পারবেন

অনেক-দূরবর্তী সম্পর্ক হতে পারে বেশ কঠিন। আর যখন ফেসটাইম, স্ন্যাপচ্যাট এবং স্কাইপের মাধ্যমে ভালোবাসার মানুষেরা পরস্পরের সঙ্গে কথা বলতে এবং পরস্পরকে দেখতে পারছে- তখন বাস্তব শারীরিক ঘনিষ্ঠতার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারলে কেমন হয়? এর জন্য প্রবেশ করুন কিসেঞ্জারে।

কিসেঞ্জার এমন একটি যন্ত্র যার মাধ্যমে যুগলরা ইন্টারনেটযোগে পরস্পরকে চুমু দিতে পারবেন। কিস এবং ম্যাসেঞ্জার শব্দদুটির সমন্বয়ে এই কিসেঞ্জার শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে। গত কয়েকবছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারের বিষয় ছিল এটি।

এটি কীভোবে কাজ করে?

মূলত এটি একটি উজ্জ্বল রঙের ফাঁপা পাত্রের মতো যা স্মার্টফোনের সঙ্গে যুক্ত করা যায়। যার তলায় একটি আমন্ত্রণের প্লাস্টিক প্যাড যুক্ত আছে।

যখন আপনি এতে ঠোঁট লাগাবেন প্যাডটি প্রেশার পয়েন্ট অনুভব করবে। এবং আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনীর ফোনে সংবেদনা প্রেরণা করবে। তারা যেখানেই থাকুক না কেন।

যন্ত্রটির প্রোটোটাইপ নিয়ে কাজ করা ইমা ইয়ান ঝাং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল্ডস্মিথে লাভ অ্যান্ড সেক্স উইথ রোবোটস সম্মেলনে দর্শকদের উদ্দেশে বলেন, “চুমু অন্তরঙ্গতা এবং স্নেহের সবচেয়ে সরাসরি এবং বিশ্বজনীন একটি অভিব্যক্তি। ”

“আমাদের সম্পর্কে ঘনিষ্ঠ বন্ধন তৈরি করতে এবং অন্তরঙ্গতা বজায় রাখতে চুমু বেশ সহায়ক। ”

ডিভাইসটির স্রষ্টারা বলেছেন, এটি এর ইউজারদেরকে মেশিনভিত্তিক স্পর্শ লাভে সহায়তা করবে। আর এটি মূলত যুগলদেরকে টার্গেট করে বানানো হলেও রোমান্টিক সম্পর্কের বাইরেও এটির ব্যবহার সম্ভব। বাবা-মায়েরাও তাদের সন্তানদেরকে ঘরের বাইরে থাকা অবস্থায় চুমু দেওয়ার জন্য এটি ব্যবহার করতে পারবেন।

যন্ত্রটির মাধ্যমে আরও জীবন্ত অনুভূতি লাভের উপায় উদ্ভাবনের জন্য এটি নিয়ে ইতিমধ্যেই আরো গবেষণা শুরু হয়েছে।
এছাড়া গবেষক দলটি কিসেঞ্জারের মাধ্যমে শরীরের ঘ্রাণ প্রেরণের পদ্ধতি উদ্ভাবনের চেষ্টাও করে যাচ্ছেন। যাতে যুগলরা পরস্পরকে চুমু দেওয়ার সময় নিজেদের শরীরের ঘ্রাণও অনুভব করতে পারেন। সূত্র: দ্য ইনডিপেনডেন্ট



মন্তব্য চালু নেই