কিশোরগঞ্জে শ্রম কল্যাণ পাবলিক পাঠাগারের উদ্যোগে পুরুস্কার বিতরণ

শুক্রবার বিকালে বিজয় দিবসের ক্রিড়া অনুষ্ঠানের বিজয়ীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরণ ও হতদরিদ্রদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছে গাড়াগ্রাম শ্রম কল্যান পাবলিক পাঠাগার।

গাড়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন’র সভাপতিত্বে উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সংসদের সমাজকল্যান সম্পাদক নাফিউল করিম নাফা,উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সিদ্দিকুর রহমান,থানা অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান,গাড়াগ্রাম শরিফাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আইয়ুব আলী ও গনেশ আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সরকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি হেদায়েত হোসেন প্রমূখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শ্রম কল্যান পাঠাগারের সভাপতি আর এম তৌফিকুল ইসলাম,সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন ইমু,পাঠাগারের প্রধান উদ্যোক্তা রিগ্যান মিয়া,সুইটি আক্তার,শিল্পী আক্তার,আরজু আক্তার,সাইফুল ইসলাম,আরিফুল ইসলাম,মিলা পারভীন ও লায়ন হোসেনসহ অন্যান্য সদস্যগন।

উল্লেখ্য যে,গত ২০১০ সালের ১৮জুন গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের ১৪জন যুবক যুবতীকে নিয়ে গাড়াগ্রাম শ্রম কল্যান পাঠাগার গড়ে তোলে। ওই এলাকার শিক্ষানুরাগী মুক্তা বেগমের অর্থায়নে এলাকাবাসীর ঐকান্তিক সহযোগীতায় পাঠাগারটি উপজেলার মানুষের মাঝে গ্রহনযোগ্য লাভ করেন। পরে ১৪জন সদস্য মিলে বিভিন্ন এলাকার সৎ কর্মঠ কিছু সদস্য নিয়ে বর্তমানে ৪১০জন সদস্য এ পাঠাগারে কাজ করছেন।

পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সিদ্দিকুর রহমান’র সহযোগীতায় পাঠাগারটি আরো গতিশীল হয়ে কাজ করতে থাকে।

পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্রম কল্যান পাঠাগারের সাথে পাবলিক যোগ করে দেন। বর্তমান শ্রম কল্যান পাবলিক পাঠাগার’র সদস্য প্রতিনিয়ত ১ম থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত ৩০০জন শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে কোচিং,ঝড়ে পড়া শিশুদেরকে স্কুলগামী করা,শতভাগ স্যানিটেশনের ব্যবহার নিশ্চিত করা, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ,সামাজিক অবক্ষয় থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে বিভিন্ন এলাকায় উঠান বৈঠক,মাদকসেবীদেরকে প্রশাসনের মাধ্যমে শাস্তি দেয়া,দেহ ব্যবসায়ীদের ধরিয়ে দেয়া ও জুয়াসহ নানা প্রকার কাজ করে সফলতা অর্জন করেছেন।



মন্তব্য চালু নেই