কাশ্মীরে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চালাচ্ছে আইএসআই

ভারতের প্রতি কাশ্মীরিদের মন বিষিয়ে দিতে ব্যাপকভাবে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার শুরু করেছে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। সাইবার শাখার গোয়েন্দাদের দাবি, সত্তরটির বেশি টুইটার হ্যান্ডেল ও হোয়াটস অ্যাপ গোষ্ঠী তৈরি করা হয়েছে এই উদ্দেশ্যে।

তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা আরও জানতে পেরেছেন, পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে টুইটার ও হোয়াটস অ্যাপ ব্যবহার শেখাতে নিয়মিত প্রশিক্ষণও দিচ্ছে আইএসআই। লস্কর-ই-তৈবার লকভি গোষ্ঠীর সদস্যদেরও স্মার্ট ফোন ব্যবহারে দক্ষ করে তুলতেও এগিয়ে এসেছে আইএসআই। এই সমস্ত টুইটার এবং হোয়াটস অ্যাপ গোষ্ঠীকে শুধুমাত্র সেনা-জঙ্গি সঙ্ঘর্ষের সময় স্থানীয় যুবকদের পাথর ছুঁড়তে উস্কানি দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে না। নিয়মিতভাবে এই সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়াতে ভারত বিরোধী প্রচারও চালানো হচ্ছে।

এদিকে, পাকিস্তানের এই পরিকল্পনা ব্যর্থ করতে বেশ কিছু ব্যবস্থা নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তবে কাশ্মীর উপত্যকায় সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার নিষিদ্ধ করার মতো কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না বলেই জানা গেছে। বদলে কাশ্মীরের উন্নয়নে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তাতে কী কী সুযোগ–সুবিধা পাওয়া যাবে, সেই সমস্ত কিছুই ব্যাপকভাবে প্রচার করা হবে। যাতে পাকিস্তান সহজে কাশ্মীরি যুবকদের বিপথগামী করে তুলতে না পারে। সেই সঙ্গে কাশ্মীরে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির ওপরও বিশেষ জোর দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি বারামুলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীতে নিয়োগের জন্য প্রায় ১৮ হাজার কাশ্মীরি যুবক শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তাদের মতে এই ঘটনা থেকেই পরিষ্কার যে কাশ্মীরি যুবকদের এক বড় অংশ এখনও পাকিস্তানের মিথ্যে প্রচারের ফাঁদে পা দেয়নি। বরং তারা ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে ওই রাজ্য থেকে সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে আগ্রহ দেখিয়েছে।

একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে কাশ্মীরে নিযুক্ত নিরাপত্তা আধিকারিকদের সতর্ক করে বলা হয়েছে, তারা যেন কোনও অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলা বা ছবি তোলা থেকে বিরত থাকেন। কারণ ভারতীয় সেনাদের ফাঁদে ফেলতেও তৎপর হয়েছে আইএসআই। বেফাঁস কোনও কথা বলে ফেললেই মুহূর্তের মধ্যে তা সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে দিতে ওৎ পেতে রয়েছে তারা। তাছাড়া ভারতীয় সেনা দমন-পীড়ন চালাচ্ছে এমন কোনও ঘটনার ছবিও যাতে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল না হয়ে পড়ে, সেই কারণে তল্লাশি চালানোর সময় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সেনা আধিকারিকদের।



মন্তব্য চালু নেই