কালের কণ্ঠের রাবি প্রতিনিধিসহ তিন সাংবাদিকদের মামলা প্রত্যাহারে হুঁশিয়ারী

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) কর্মরত কালের কন্ঠের প্রতিনিধিসহ তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের দায়ের করা মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারী দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা।

বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকদের তিনটি সংগঠন পৃথক বিবৃতিতে দ্রুত মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (রাবিসাস) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুজন নাজির ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৬ এপ্রিল রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার রাবি উপাচার্যের দফতরে ঢুকে উপাচার্যসহ কয়েকজন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেন।

এ ঘটনার সংবাদ প্রকাশের জেরে কালের কন্ঠের রাবি প্রতিনিধিসহ তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা গত ২০ এপ্রিল প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে মামলা প্রত্যাহারে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিল। বৃহস্পতিবার আল্টিমেটামের সময় অতিক্রম হলেও মামলা প্রত্যাহার করা হয় নি। অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার করা না হলে সাংবাদিক সমাজ কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শামীম রাহমান ও সাধারণ সম্পাদক আলী রমজান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, সত্য প্রকাশের জের ধরে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা নিন্দনীয় ও ন্যক্কারজনক। এভাবে মামলা-হামলা করে সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করা যাবে না।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল্লাহ সাইফ ও সাধারণ সম্পাদক মোত্তালিব হোসেন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, কালের কন্ঠের সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করা না হলে সাংবাদিকরা আন্দোলনে নামবে বলে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করা হয় বিবৃতিতে।

গত ১৯ এপ্রিল রাজশাহী চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, রাজশাহী ব্যুরো প্রধান রফিকুল ইসলাম ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রোকন রাকিবের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার। গত ১৭ এপ্রিল কালের কণ্ঠের প্রথম পাতায় আ.লীগ নেতার হাতে লাঞ্ছিত উপাচার্য’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের জের ধরে এ মামলা করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই