কালও আদালতে যাচ্ছেন না খালেদা জিয়া

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট এবং জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামীকাল বৃহস্পতিবার আদালতে যাবেন না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া।

বুধবার সানাউল্লাহ মিয়া জানান, খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় কাল আদালতে যাবেন না। তার পক্ষে সময়ের আবেদন করা হবে। পরবর্তীতে তিনি আদালতে হাজিরা দিবেন।

একই দিন রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে করা মামলায় খালেদা জিয়ার আদালতে হাজির হওয়ার তারিখ রয়েছে। ওই আদালতে তিনি হাজির হবেন কি না প্রশ্নের জবাবে সানাউল্লাহ মিয়া জানান, এ বিষয়ে আজ রাতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার জেরা অব্যাহত রয়েছে। অপরদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।

এতিমদের জন্য বিদেশী থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। এছাড়া ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা দায়ের করা হয়।

২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আদালত দুই মামলায় খালেদা ও তারেক রহমানসহ নয় জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

এদিকে মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আইনজীবী ড. মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদীর করা রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আমলে নিয়ে গত ২৫ জানুয়ারি সমন জারি করে খালেদা জিয়াকে ৩ মার্চ আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, তিনি তো (বঙ্গবন্ধু) বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি, তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। শহীদ প্রেসিসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ‘আজকে বলা হয়, এতো (৩০ লাখ) শহীদ হয়েছে, এটা নিয়েও তো অনেক বিতর্ক আছে।’ তার ওই বক্তব্য পরদিন বিভিন্ন জাতীয় পত্র প্রত্রিকায় প্রকাশিত হয়। যেহেতু উক্ত বক্তব্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে কটাক্ষ করে, স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। যা দন্ডবিধি ১২৩ (ক) ধারার অপরাধ।



মন্তব্য চালু নেই