কারাবন্দী শীর্ষ সন্ত্রাসী কামাল পাশার মৃত্যু

পুলিশের ঘোষিত শীর্ষ ২৩ সন্ত্রাসীর একজন কামাল পাশা মারা গেছেন। বুধবার সকালে সাড়ে ১০টায় গাজীপুর সদর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। মোহাম্মদপুরে জোড়াখুনসহ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ছিলেন ৯০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত এই আসামি।

কাশিমপুর কারাগার পার্ট-২ এর জেলার তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, কারাগারে কামাল পাশা স্ট্রোক করেন। পরে তাকে সকালে গাজীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সকাল সাড়ে ১০টায় তার মৃত্যু হয়।

বিএনপি জোট সরকার আমলে ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকা প্রকাশ করে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে কামাল পাশাকে ধরিয়ে দিতে এক লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। পরে কামাল পাশার বাবা তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

২০০০ সালের ৫ মে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে দুই ভাইকে গুলি করে হত্যা করে রাজধানীর আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসী কামাল পাশা।

১৯৯৭ সালের এপ্রিলে আগারগাঁওয়ে খুন হন শামিম ও মামুন। শীর্ষ সন্ত্রাসী বিকাশ এই জোড়া খুনের ঘটনাটি ঘটায়। কিন্তু কিলার হিসেবে ছিল কামাল পাশা। কামাল পাশার নেতৃত্বেই ওই জোড়া খুনের ঘটনাটি ঘটে।

১৯৯৭ সালের ২২ মে কামাল পাশা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলি করে হত্যা করে ঠিকাদার আশিক ইকবালকে। দিনদুপুরে কামাল পাশা এবং তার সহযোগী রাশেদ মোস্তফা ওরফে রতনকে নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।

২০০০ সালের প্রথম দিকে উত্তরায় গুলি করে এক ব্যক্তিকে হত্যা করে। এর কিছুদিন পরই মোহাম্মদপুরে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে দুই ভাই আশরাফ হোসেন জুয়েল (২৮) এবং মোহামদ আলী রিভেলকে (২৪)। বনানীতে একজন ব্যবসায়ীকে হত্যা করেন কামাল পাশা।



মন্তব্য চালু নেই