কারাবন্দিরা যেভাবে সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হবেন

এবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের তিন সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে প্রার্থীদের একাংশ যে কারাগারে থেকেই নির্বাচনে প্রার্থী হবেন তা নিশ্চিত। বিশেষ করে বিএনপির কাউন্সিলরতো বটেই, মেয়র পদেও কারবান্দি নেতারা প্রার্থী হতে পারেন। এর বাইরেও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না কারবন্দি অবস্থায়ই নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে।

ঢাকা দক্ষিনে বিএনপি’র মেয়র পদে মীর্জা আব্বাস এবং নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর নাম শোনা গেছে। তার দু’জনই কারাবন্দি। আর ঢাকা উত্তরে বিএনপির প্রার্থী আব্দুল আউয়াল মিন্টু কারাগার থেকে ছাড়া পেলেও এখন পলাতক। আশঙ্কা আছে মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার আগেই কোন কোন প্রার্থী গ্রেপ্তার হতে পারেন।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে যারা কারাগারে আছেন বা যাবেন তারা কীভাবে নির্বাচনে প্রার্থী হবেন? এর জবাবে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক স. ম রেজাউল করিম বলেন,‘ কারাগারে থাকলেও কোন ফৌজদারী মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত না হলে বা অন্যকোনভাবে অযোগ্য না হলে প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিক প্রার্থী হতে পারবেন।’

এজন্য প্রার্থীকে আত্মীয় স্বজন বা কারাকর্তৃপক্ষের মাধ্যমে মনোনয়ন পত্র নির্বাচন কমিশন থেকে সংগ্রহ করতে হবে। মনোয়ন পত্র যথাযথভাবে পুরণ করে তা আবার কারা কর্র্তৃপক্ষকে দিতে হবে। কারা কর্তৃপক্ষ বন্দি প্রার্থীর স্বাক্ষর নিয়ে তা সত্যায়িত করবেন। এর পর কারাকর্তৃপক্ষ বা তাঁর মনোনীত কেউ মনোনন পত্র নির্বাচন কমিশনে জমা দেবেন।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার ফরমান আলী জানান,‘কারাবন্দিদের প্রার্থী হতে হলে মনোয়নপত্র সংগ্রহ করে তা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জমা দিতে হবে। পুরণ করা মনোনয়ন পত্র জেলা প্রশাসক সংশ্লিষ্ট কারাগারে পাঠালে কারাকর্তৃপক্ষ তা বন্দিকে দিয়ে স্বাক্ষর করে সত্যায়িত করে দেবেন। আর সেই মনোনয়ন পত্র নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হবে।’

তিনি জানান,‘ মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ থেকে জমাদান এই পুরো প্রক্রিয়া কারাকর্তৃপক্ষও করে দিতে পারে বন্দির আবেদনের ভিত্তিতে।’

এদিকে যারা পলাতক আছেন তারা মনোনয়ন পত্র প্রতিনিধির মাধ্যমে সংগ্রহ করে তা পুরণ ও সই করে আবার প্রতিনিধির মাধ্যমে জমা দিতে পারেন নির্বাচন কমিশনে। তাকে সশরীরে নির্বাচন কমিশনে হাজির হতে হবে না। তবে কেউ যদি তার স্বাক্ষর চ্যালেঞ্জ করেন, বলেন জাল, তাহলে পলাতক প্রার্থীকে সশরীরে নির্বাচন কমিশনে হাজির হয়ে তার স্বাক্ষরের সত্যতা প্রমাণ করতে হবে বলে জানান এ্যাডভোকেট শ.ম রেজউল করিম।



মন্তব্য চালু নেই