কামারুজ্জামানের ফাসিঁ বিধবাপল্লীতে আনন্দ উৎসব

শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী কাকরকান্দি সোহাগপুর বিধবা পল্লীতে আজ শুধুই আনন্দ-উল্লাস ইতি মধ্যেই বর্ষ বরণ উৎযাপনের প্রস্তুতি চলছে বিধবা পল্লীতে। আর এসবই হয়েছে বৃহত্তর ময়মনসিংহের কুখ্যাত আলবদর কমান্ডার জামাতের সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল কামারুজ্জামান এর মৃত্যুদন্ড কার্যকর হওয়ার আনন্দে। ৪৪ বছর ধরে বুকের মধ্যে চেপে রাখা বিশাল ক্ষত আজ একটু প্রশমিত হয়েছে, স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে বিধবা পল্লীর বিধবা’রা।

মুক্তিযুদ্ধে সোহাগ পুর গ্রামের ইতিহাসের জঘন্যতম গন হত্যার বিচারের প্রত্যাশিত রায় সবোর্চ শাস্তি মৃত্যূ দন্ড ১১এপ্রিল রাত ১০.৩০ মিনিটে কার্যকর হওয়াতে শহীদ পরিবারের সন্তান জালাল উদ্দিন ও কফিল উদ্দিন , বিধবা জবেদা বেওয়া , হাসনা বানু , জবেদা খাতুন জানান— “আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি । আমরা ৪২ বছর ধইরা আল্লার কাছে যে বিচার চাইছি তা পাইছি।”

বৃহত্তর ময়মনসিংহের কুখ্যাত আলবদর কমান্ডার জামাতের সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল কামারুজ্জামান ১৯৫২ সালে শেরপুরের বাজিতখিলা কুমরী গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। তিনি ৭১ সালে বৃহত্তর ময়মনসিংহের ইসলামী ছাত্র সংঘের প্রধান হিসেবে ছিলেন।

এসময় মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আলবদর বাহিনীর প্রধান সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭২ সালে তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা হয় এবং গ্রেফতার হন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাধারন ক্ষমা ঘোষনা করার পর কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে যান কামারুজ্জামান। তখন থেকে গ্রেফতার হওয়ার আগ পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতৃতে¦ ছিলেন তিনি। ফাসিঁ কার্যকরের পর নালিতাবাড়ী মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আনন্দ মিছিল শেষে মিস্টি বিতরন করেছে।

১৯৭১ সালের ২৫ জূলাই মঙ্গলবার ভোর থেকে প্রায় ৮ ঘন্টা ধরে চলে এই নারকীয় হত্যাকান্ড এ সময় হত্যা করা হয় ১৮৭ জন কে। এর মধ্যে ১৪৪জনের পরিচয় পাওয়া গেলেও বাকিদের পরিচয় আজও পাওয়া যায়নি।



মন্তব্য চালু নেই