কামারুজ্জামানের ফাঁসির দিন গণনা শুরু

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যু পরোয়ানা কারাগারে পৌঁছানোর পর তার দণ্ড কার্যকরের জন্য দিন গণনা আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ এ আইনি কর্মকর্তা।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘যেহেতু কামারুজ্জামানের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, সেহেতু তিনি তা জেনে গেছেন। তাই আজ থেকেই রায় কার্যকরের দিন গণনা শুরু করতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘রায় কার্যকরের ক্ষেত্রে রাষ্ট্র ইচ্ছা করলে ১৫ দিন অপেক্ষা করতেও পারে, আবার নাও করতে পারে। সেটি রাষ্ট্রের ব্যাপার।’

রাষ্ট্র যদি কামারুজ্জামানের রায় কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু করে তাহলে তা অবৈধ হবে না বলেও মন্তব্য এই আইনী কর্মকর্তার। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘অবৈধ হবে না কারণ, সুপ্রিম কোর্ট রায়ে এ কথা বলেননি যে, রায় কার্যকরের জন্য রাষ্ট্র প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে না।’

মাহবুবে আলম বলেন, ‘রায়ের সার্টিফাইড কপি বা কামারুজ্জামানকে রায়ের বিষয়টি জানানোর পর, যেটি আগে হবে সেদিন থেকেই ১৫ দিন সময় পাবেন রিভিউ করার জন্য।

এরআগে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদসস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ কামারুজ্জামানের মৃত্যু পরোয়ানায় সই করেন। পরে রেজিস্ট্রার মুস্তাফিজুর রহমান মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতের এই নেতার মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে দেয়া আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি গতকাল বুধবার প্রকাশ করা হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৩ নভ্ম্বের একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেয়া জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন আপিল বিভাগ।

মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা-নির্যাতনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে গত বছর ৯ মে কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।



মন্তব্য চালু নেই