কাপ-ডিশ কেনার আগে সাবধান! বাড়িতে ঢুকে পড়তে পারে অশুভ শক্তি

বাড়িতে সদ্য কিনে এনেছেন নতুন একটা পোয়ালা। বাহারি। দেখলেই ব্যবহার করতে ইচ্ছে করে। ব্যবহার শুরুও হয়। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে দেখা যায়, বাড়ির কোনও অসুস্থ মানুষ যদি ওই পেয়ালা থেকে কিছু পান করে থাকেন, তিনি অবধারিতভাবে মারা যাচ্ছেন। পেয়েলাটাকে বাইরে ফেলে দিয়ে এলেও সে কোন এক আজব উপায়ে আবার ঘরে ঢুকে পড়ে। তাকে ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে এলেও নিস্তার নেই। সে ঠিক তার নিজের জায়গায় ফিরে আসবে।
উপরের ঘটনাটি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিখ্যাত ছোটগল্প ‘পেয়ালা’-র সারসংক্ষেপ। অতিলৌকিক সেই গল্পের স্বাদ বাঙালি উপভোগ করে চলেছে প্রজন্ম পরম্পরায়। কিন্তু একটা খটকা এই গল্প পড়ার পরে লেগেই থাকে, সত্যিই কি এমন হতে পারে? চিনা বাস্তুশাস্ত্র ফেং শ্যুই ঘাঁটলে দেখা যায়, ঠিক এতটা অমঙ্গলের কথা না বললেও, এই প্রাচীন পরম্পরা কাপ-ডিশ কেনার ব্যাপারে সদা সতর্ক থাকার নিদান দিচ্ছে।
ফেং শ্যুই মতে—
• কাপ-ডিশ কীসে তৈরি, সেটার উপরে নির্ভর করে অনেক কিছুই। যেমন, রুপোর কাপ-প্লেট স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। অসুস্থ ব্যক্তিকে রুপোর পেয়ালায় পথ্য খেতে দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছে ফেং শ্যুই।
• সদ্য-বিবাহিতদের নতুন সংসারে কাঠের বাসন শুভকারী। এতে ‘চি’ বা জীবনীশক্তি বৃদ্ধি পায়।
• স্বচ্ছ সবুজ কাচের কাপে পান করার অভ্যেস বজায় রাখলে অন্তদৃষ্টি বৃদ্ধি পায় বলে জানায় প্রাচীন চিনা শাস্ত্র।
• পাতলা ধারযুক্ত কাপ বা গ্লাস ব্যবহার করতে মানা করে ফেং শ্যুই। লতাপাতার ডিজাই-ওয়ালা পাত্রের ক্ষেত্রেও একই নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।
• ভাঙা পেয়ালা সর্বদা বর্জনীয়। পেয়ালা-পিরিচে যদি কোনও দাগ সহজে না ওঠে, তাকেও বর্জন করাই শ্রেয়।
• সর্বোপরি, বাড়িতে যেখানে কাপ-ডিশ রাখা হয়, সেখানে যেন দিনের কোনও সময়ে সূর্যের আলো প্রবেশ করে।



মন্তব্য চালু নেই