হামলাকারী হাটবারকে কাজে লাগিয়েছে

কাদিয়ানি-হানাফি-আহলে হাদিস, পাশাপাশি ৩ মসজিদ

হামলাকারীরা হাটবারের সুযোগ নিয়ে রাজশাহী বাগমারা আহমদিয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানি) মসজিদে আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। কারণ শুক্রবার মচমইল বাজারে বসে পানের হাট।

স্থানীয়রা জানান, মচমইল বাজারে সপ্তাহে চারদিন হাট বসে। এরমধ্যে শুক্রবার ও সোমবার পান ও বাঁশের হাট বসে। রোববারে বসে গরুর হাট আর বুধবার সাধারণ হাট। হাটের দিনে ওই মসজিদে বাইরের অনেক মুসল্লি নামাজ পড়তে আসেন।

গ্রামে পাশাপাশি তিনটি মসজিদ আছে। একটি কাদিয়ানি, একটি হানাফি ও অন্যটি আহলে হাদিস। যে যে সম্প্রদায়ের লোকজন ওইসব মসজিদে নামাজ আদায় করেন। কাদিয়ানি মসজিদটি ছিল মাঝখানে।

মুসল্লিদের কয়েকজন জানান, জুমার আজানের পরপরই দুইজন অপরিচিত ছেলে মসজিদে প্রবেশ করে। অনেকেই তাদের পান বিক্রেতাও মনে করেন। অপরিচিত হিসেবে কয়েকবার কথাও হয় তাদের সঙ্গে।

হাটবার ছাড়া পরিচিতরাই ওই মসজিদে নামাজ পড়ে থাকেন। যারা ওই মসজিদের নিয়মিত মুসল্লি তাদের সবাই চেনা। কিন্তু ওই দুই ছেলে পরিচিত ছিল না। তাই মসজিদে নামাজ পড়ার আগে স্থানীয়ার পরিচয় জানতে চাইলে অচেনা আত্মঘাতী যুবক জানিয়েছিলেন, মচমইলে তার এক বন্ধু আছে। তার সঙ্গেই বেড়াতে এসেছেন। হামলাকারী নিজেকে রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউশনের ছাত্র হিসেবে পরিচয় দেন।

বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান জানান, হাটবারের দিনটিকেই কাজে লাগিয়েছে হামলাকারীরা।

শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের সময় বাগমারা উপজেলার সৈয়দপুর মচমইল চকপাড়া কাদিয়ানি জামে মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলার এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই ওই হামলাকারীর মৃত্যু হয়। তার নাম পরিচয় জানা যায়নি।

এ ঘটনায় তিনজন আহত হন। তারা হলেন- ময়েজ তালুকদার (৪০), সাহেব আলী (৩৫), পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র নয়ন (১২)। আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই