কাতারের নতুন আবাসন আইনে চাকরি হারানোর শঙ্কা বিদেশি শ্রমিকদের

কাতারে চালু হওয়া নতুন আবাসন আইনের মারপ্যাঁচে পড়তে যাচ্ছেন দেশটিতে কর্মরত বিদেশি শ্রমিকরা। নতুন আইনের ফলে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটির বিভিন্ন কোম্পানিতে কর্মরত বিদেশি শ্রমিকরা প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত গোপন তথ্য প্রকাশ করলে চাকরি হারাতে পারেন। কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়া ছাড়াই নিয়োগকর্তা চাইলেই তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে পারবেন।

দেশটির জ্যেষ্ঠ এক আইন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, আইনের সাধারণ বিধান হচ্ছে যে, কোনো প্রবাসীর যদি কাতারে আবাসের পারমিট থাকে, তাহলে এর প্রতি তাকে অবশ্যই শ্রদ্ধাশীল হতে হবে, লঙ্ঘন করা যাবে না।

কাতারের বেসরকারি আইনি সহায়তা প্রতিষ্ঠান আল-সুলতানি ল ফার্মের মহাব্যবস্থাপক ও জ্যেষ্ঠ আইনি পরামর্শক হুসসাম তানতায়ি বলেন, নতুন আইনে একজন প্রবাসী অন্য কোম্পানিতে কিছু প্রশাসনিক কাজ করতে পারবেন, যদি ওই প্রতিষ্ঠানে তার অংশীদারিত্ব এবং স্বাক্ষর করার ক্ষমতা থাকে।

তবে ওই শ্রমিক যে কোম্পানিতে কর্মরত আছেন সেই কোম্পানির কাজের সঙ্গে মিলে গেলে সেখানে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের সমস্যা সমাধানে আবাসন আইনের ৪৩ নং আর্টিকেলে বলা হয়েছে, চাকরির চুক্তিতে শর্ত জুড়ে দিতে পারবেন নিয়োগকর্তা। যার ফলে একই ধরনের অন্য কোম্পানিতে কাজ করা যাবে না।

শ্রমিক যদি এ আইন লঙ্ঘন করে তাহলে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত ও দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধও করতে পারবে কোম্পানি। তবে চুক্তিপত্রে শর্তের উল্লেখ না থাকলে অন্য কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পদে কাজ করতে কোনো বাধা থাকবে না।

এছাড়া ওই শ্রমিকের নাম দেশটির অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্যিক শাখায় নিবন্ধিত হতে হবে। এছাড়া কোম্পানির গোপনীয় তথ্য প্রকাশ করলে দায়ী করা হবে শ্রমিককে। আইন অনুযায়ী, কোম্পানির গোপনীয়তা অবশ্যই রক্ষা করতে হবে; এমনকি চাকরিচ্যুত হওয়ার পরও।

এদিকে দেশটির নতুন শ্রম আইনে শ্রমিকদের কাতারে প্রবেশ, প্রস্থান, আবাসন ও চাকরি পরিবর্তনের পদ্ধতি নিয়েও বেশ কিছু প্রশ্ন উঠেছে। শনিবার কাতারে ‘অভিবাসন ও নিয়োগ আইনের পরিবর্তন’ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন আল-সুলতানি ল ফার্ম। সেমিনারে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান বলেন, এই প্রশ্ন উঠেছে কারণ, আইনটি কার্যকরে এখনো নির্বাহী আদেশ জারি করেনি কর্তৃপক্ষ।

সূত্র : দ্য পেনিনসুলা কাতার।



মন্তব্য চালু নেই