কাউন্সিলর বাছাইয়ে ভোট, অতঃপর পুলিশের হানা

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে ভোটের আগেই মহল্লাবাসীর উদ্যোগে একক প্রার্থী নির্বাচনে ভোটের আয়োজন করা হয়েছে।

উল্লাপাড়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে শ্রীকোলা মহল্লার মোট ৫ জন আসন্ন পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়ে মাঠে প্রচার প্রচারণাসহ নানা তৎপরতা চালিয়ে আসছিল। এসব প্রার্থী কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। তাই মহল্লাবাসী সিদ্ধান্ত নেয় ভোটের আগেই মহল্লার উন্নয়নে একক প্রার্থী দেওয়া হবে। এই সিদ্বান্ত থেকে তারা মহল্লার আগ্রহী প্রার্থী-বর্তমান কাউন্সিলর শাহাদত হোসেন খোকন, মো. আব্দুল আলীম, আব্দুল মজিদ ঠান্ডু, জাকির হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন বোরহানকে নিয়ে এই ভোটের আয়োজন করে। আর কোনো প্রার্থী না থাকায় সংরক্ষিত আসনে মহল্লার গৃহবধূ বর্তমান মহিলা কাউন্সিলর সুরাইয়া লাকী শিকদারকে একক প্রার্থী ঘোষণা করা হয়।

এ উপলক্ষে গত মঙ্গলবার মহল্লাবাসীর উদ্যোগে ভোট গ্রহণের আয়োজন করা হয়। তবে পরে ভোট গ্রহণ চলাকালে পুলিশ তা বন্ধ করে দেয়।

গ্রাম্য প্রধান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম জানান, গ্রামবাসী এদের মধ্য থেকে একজন প্রার্থী বাছাই করার জন্য মঙ্গলবার গ্রামের হাফিজিয়া মাদ্রাসায় ভোট গ্রহণের আয়োজন করে। এ জন্য পোলিং স্টাফ নিয়োগ করা হয় এবং প্রতীক দিয়ে ছাপানো হয় ব্যালট পেপার ।

উপজেলার ঘোনা কুচিয়ামারা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক শহিদুল ইসলামকে প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়। এই গ্রামের ভোটার সংখ্যা প্রায় ২ হাজার। ভোটাররা সকাল ৯টা থেকে ভোট দেওয়া শুরু করেন। দুপুর ২টার দিকে উল্লাপাড়া থানা-পুলিশ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেয়।

উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেওয়ান কউশিক আহমেদ জানান, প্রতীক দিয়ে ব্যালট পেপার ছাপিয়ে ভোট গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নিতে হয়। এ ধরনের কোনো অনুমতি না থাকায় প্রশাসনের নির্দেশে শ্রীকোলা গ্রামের ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এদিকে পৌর নির্বাচনে ভোটের আগেই ভোট দিতে ওই দিন সকাল থেকেই কেন্দ্রে ভোটার ও গ্রামের সাধারণ লোকজনের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। ভোটকেন্দ্রের চারপাশে প্রচুর দোকানপাট বসে এবং সেখানে সৃষ্টি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ।



মন্তব্য চালু নেই