কল্যাণপুরের ঘটনায় মামলার এজাহারে যা আছে

কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে ৯ জঙ্গির নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ। মামলায় নিহত ৯ জনসহ ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে মামলার এজাহার থেকে আরো জানা যায়, অভিযানের পর ওই বাসা থেকে ৩ রঙের মোট ৮টি পাগড়ি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৫টি লাল-সাদা, ২টি সাদা-কালো এবং একটি নীল-সাদা।

জঙ্গি আস্তানা থেকে উদ্ধার করা আলামতের মধ্যে রয়েছে: ৮টি পাগড়ি, ক্যামব্রিয়ান স্কুলের চারটি ব্যাগ, শিক্ষা উপকরণ সংগ্রহ করার কার্ড, দু’টি পেনড্রাইভ, আইডি কার্ডসহ মানিব্যাগ (কালো ও খয়েরি রঙের), প্লাস্টিক ফাইল এবং কার্তুজ।

এছাড়াও, অভিযানকালে ঘটনাস্থল থেকে ১৩টি গ্রেনেড, ১৯টি ডেটোনেটর, ৭.৬২ এমএম রাইফেল, ম্যাগজিন, তলোয়ার, ছুরি, চাপাতিসহ বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক জব্দ করে পুলিশ।

সন্ত্রাস দমন আইনে করা মামলায় নিহত ৯ জঙ্গি, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগানসহ মোট ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। বাকি ৯ জন হলেন- রাকিব হাসান, তামিম চৌধুরী, রিপন, খালিদ, মামুন, মানিক, জুনায়েদ খান, বাদল, আজাদাদুল ওরফে কবিরাজ।

মামলার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন মিরপুর মডেল থানার ওসি ভূঁইয়া মাহবুব।

তিনি জানান, পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) শাহাজালাল আলম বাদী হয়ে দায়ের করা মামলাটির তদন্ত করবে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।

এদিকে, সন্দেহভাজন জঙ্গিদের বিরুদ্ধে করা মামলায় আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম সাজ্জাদুর রহমান এ আদেশ দেন বলে আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই আলতাফ হোসেন গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

প্রতিবেদনের জন্য আদালত আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৫ জুলাই (সোমবার) রাতে কল্যাণপুরে ৫ নম্বর রোডের ৫৩ নম্বর বাড়িতে (তাজ মঞ্জিল) জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পায় পুলিশ। পরে মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) ভোরে ‘স্টর্ম-টোয়েন্টি সিক্স’ অপারেশন চালায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এতে নয় জঙ্গি নিহত হয়।

এদের বাড়ি দিনাজপুর, রংপুর, ঢাকা, সাতক্ষীরা, নোয়াখালী, টাঙ্গাইল ও চট্টগ্রাম।



মন্তব্য চালু নেই