শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার সংখ্যা কম

কলারোয়ায় সুষ্ঠু পরিবেশে অতিবাহিত হলো এসএসসি’র প্রথম পরীক্ষা

শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে অতিবাহিত হলো কলারোয়ায় এস.এস.সি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষার প্রথম দিন। বৃহষ্পতিবার এ পরীক্ষা উপজেলার পৃথক ৫টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল হামিদ জানান, শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার সংখ্যা এবার খুবই কম। এস.এস.সি পরীক্ষায় মোট ২৬৯১জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অনুপস্থিত ১০জন। এর মধ্যে ছাত্র ৪জন ও ছাত্রী ৬জন। অর্থাৎ পরীক্ষায় উপস্থিত মোট ২৬৮১জন। এর মধ্যে উপস্থিত ছাত্র ১৩৩৪জন আর ছাত্রী ১৩৪৭জন।

এস.এস.সি ভোকেশনাল পরীক্ষায় ১৮১জন ছাত্র ও ৫৮জন ছাত্রী নিয়ে মোট ২৩৯জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিত ছিল ২৩৮জন। অনুপস্থিত ১জন।

দাখিলে ৫৫১জনের মধ্যে ৫৪১জন পরীক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। সেখানে অনুপস্থিত ১০পরীক্ষার্থী।

সবমিলিয়ে এস.এস.সি, এস.এস.সি (ভোকেশনাল) ও দাখিল পরীক্ষায় সর্বমোট ৩৪৮১জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে মোট অনুপস্থিত ২১জন।
কলারোয়ায় এ বছর পরীক্ষার্থী ছিল এস.এস.সি’র ৪টি কেন্দ্রে সর্বমোট ২৬৯১ জন এবং দাখিলের ১টি কেন্দ্রে মোট ৫৫১ জন।

এস.এস.সি’র ৪টি কেন্দ্র হলো উপজেলা সদরের কলারোয়া জিকেএমকে পাইলট হাইস্কুল, গালর্স পাইলট হাইস্কুল, সোনাবাড়িয়া সম্মিলিত হাইস্কুল ও খোরদো এম.এল হাইস্কুল। আর দাখিলের একমাত্র কেন্দ্র কলারোয়া সরকারি কলেজ।

এদিকে, বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। সকালে কলারোয়া গার্লস পাইলট হাইস্কুল কেন্দ্রের বিভিন্ন পরীক্ষার কক্ষ পরিদর্শন করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উত্তম কুমার রায়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সভাপতি শিক্ষক দীপক শেঠ, কেন্দ্র সচিব প্রধান শিক্ষক বদরুজ্জামান বিপ্লব, ট্যাগ অফিসার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহাসীন আলী, সমবায় কর্মকর্তা নওশের আলী, হল সুপার প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান, প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান বুলবুল, সাংবাদিক এমএ সাজেদ প্রমুখ।

অপরদিকে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল হামিদও কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, ‘এ মুহূর্তে মনটা ভালো লাগার অন্যতম কারণ হলো এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ঝরে পড়ার সংখ্যা খুব কম।’

উল্লেখ্য, বরাবরে মতো এবারও এস.এস.সি ও দাখিলে পরীক্ষার্থীদের সংখ্যার দিক থেকে ছাত্রী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪২ জন বেশি।
কেন্দ্র অনুযায়ী, কলারোয়া পৌর সদরের জিকেএমকে পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৯৭০ জন। যার মধ্যে ছাত্র ৩৭৮ জন, ছাত্রী ৫৯২ জন।

পৌর সদরের অপর কেন্দ্রে ঐতিহ্যবাহী গার্লস পাইলট হাইস্কুল কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭৯১ জন। যার মধ্যে ছাত্র ৪৬১ জন, ছাত্রী ৩৩০ জন।

সোনাবাড়িয়া সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬০৭ জন। যার মধ্যে ছাত্র ৩৩০ জন, ছাত্রী ২৭৭ জন।
খোরদো এম.এল মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩২৩ জন। যার মধ্যে ছাত্র ১৬৯ জন আর ছাত্রী ১৫৪ জন।
এছাড়া, দাখিল পরীক্ষার একমাত্র কেন্দ্র কলারোয়া সরকারি কলেজে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৫১ জন। যার মধ্যে ছাত্র ২১২ জন এবং ছাত্রী ৩৩৯ জন।



মন্তব্য চালু নেই