কলারোয়ায় জনৈক নুরুজ্জামানের সংবাদ সম্মেলন

একটি সংবাদপত্রে স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা চুরির খবর প্রকাশ ও ওই ঘটনায় মামলা দেয়ায় ভিন্নমত পোষণ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কলারোয়ার দেয়াড়া গ্রামের মৃত জোহর আলি খানের ছেলে নুরুজ্জামান খান। মঙ্গলবার কলারোয়া প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নুরুজ্জামান খান বলেন, তাঁর মেয়ে জেসমিন নাহারকে ২০১৩ সালের ৮ নভেম্বর যশোর কোতয়ালী থানার অন্তর্গত আদর্শ গোপালপুর গ্রামের ইসরাইল দফাদারের ছেলে আব্দুল আহাদের সাথে বিয়ে দেন। বিয়ের পর জামাতা আহাদ অন্য একটি মেয়ের প্রতি আসক্ত হয়ে তার মেয়ের উপর মারপিট ও ১ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। দাবিকৃত টাকার মধ্যে ৬০ হাজার টাকা পরিশোধ করা হলেও মেয়ের উপর নির্যাতন কমেনি। বাকি টাকার জন্য অত্যাচার করতে থাকে জামাতা আহাদ। তার মেয়ে ৭ মাসের প্রেগন্যান্ট থাকা অবস্থায়ও নির্যাতনের শিকার হয় বলে নুরুজ্জামান খান দাবি করেন। প্রেগন্যান্সি পিরিয়ডে নির্যাতনের ফলে ভূমিষ্ঠ ছেলে শিশুটির উপরও শারীরিক প্রভাব পড়ে। শিশুটির বয়স ৫ মাস হওয়ার পরও মেয়ের ওপর নির্যাতন চলায় তিনি বুঝতে পারেন, তার মেয়ে সেখানে আর থাকতে পারবে না। এ অবস্থায় তিনি সাতক্ষীরা জুডিশিয়াল আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা দেয়ার পর থেকে আব্দুল আহাদ ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। মামলা দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। নুরুজ্জামান খান আরও বলেন, এমনকি যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক লোকসমাজ পত্রিকায় মেয়ে ও আমার নামে স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা চুরির ভিত্তিহীন খবর ছাপা হয়। নুরুজ্জামান খান দাবি করেন, ১৫ মে প্রকাশিত ওই সংবাদটি মিথ্যা ও বানোয়াট।



মন্তব্য চালু নেই