সাতক্ষীরার কলারোয়ার কিছু খবর

কলারোয়ায় চলছে জাতীয় স্কুল-মাদরাসা শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ৪৪তম জাতীয় স্কুল-মাদরাসা শীতকালীন ক্রীড়ানুষ্ঠান সমাপ্তির পথে। সপ্তাহব্যাপী ক্রীড়া অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে মঙ্গলবার সকালে কলারোয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল হামিদ মাঠে উপস্থিত থেকে ক্রীড়া উপভোগ করেন। কলারোয়া ফুটবল মাঠে এ সময় অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কলারোয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম রহমান, সাধারণ সম্পাদক প্রধান শিক্ষক রাশেদুল হাসান কামরুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ জুলফিকারুজ্জামান জিল্লু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আরিফ মাহমুদ, সাংবাদিক আতাউর রহমান, এমএ সাজেদ, গোলাম রসুল, অধ্যাপক আবুল হোসেন প্রমুখ। মাঠে এবারের বিভিন্ন খেলা পরিচালনা করেন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব মাস্টার বদরুজ্জামান বিপ্লব, মাস্টার শেখ শাহাজাহান আলী শাহিন, মাস্টার আবুল কালাম আজাদ, সিরাজুল ইসলাম, আমিরুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান, তজিবুর রহমান, মাহফুজা খানম। বুধবার একই মাঠে ৪৪তম ক্রীড়ার সমাপ্তি ঘটবে বলে জানাগেছে। খেলার সমাপনী দিনে মাঠে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন।
ফটো ক্যাপশন: কলারোয়া ফুটবল মাঠে স্কুল-মাদরাসার শীতকালীন ক্রীড়া উপভোগ করেন অতিথিবৃন্দ।

কলারোয়া প্রেসক্লাবে নুরুল ইসলামের সংবাদ সম্মেলন:Kalaroa pic-23
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলার প্রকাশ্য ঘুরে বেড়ানো আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার কাউরিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে নুরুল ইসলাম। মঙ্গলবার বেলা ১২ টার দিকে কলারোয়া প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে নুরুল ইসলাম লিখিত ও মৌখিক বক্তব্যে উল্লেখ করেন, প্রায় ১৮ বছর আগে তার মেয়ে সেলিনা খাতুনের সাথে একই গ্রামের আব্দুল মোল্লার ছেলে নির্মাণ মিস্ত্রি হারুনার রশিদের বিয়ে হয়। মেয়ের সুখের জন্য তিনি মেয়ে-জামাতার জন্য ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলার কাজীরহাটে একটি বসতবাড়ি বানিয়ে দেন। এই দম্পতির এক ছেলে ও ১ মেয়ে। মেয়েটিরও অন্যত্র বিয়ে হয়ে গেছে। সুখে কাটছিলো এদের দিন। সম্প্রতি এক মালয়েশিয়া প্রবাসীর বাড়িতে নির্মাণ কাজ করতে যেয়ে সেই গৃহবধূকে বিয়ে করে হারুনার রশিদ। ডিভোর্স দেয় স্ত্রী সেলিনাকে। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানালে স্ত্রী সেলিনাকে মারধর করে স্বামী রশিদ। এ বিষয়ে সেলিনা খাতুন গত ২ নভেম্বর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, সাতক্ষীরা’য় মামলা দায়ের করলে তা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের তদন্তে আসে। ইউপি চেয়ারম্যান এক প্রকার মীমাংসা করে দেয়ায় রশিদ নিজ বাড়িতে আনে সেলিনাকে। নুরুল ইসলাম আরও বলেন, গত ১৮ ডিসেম্বর ভোরে জামাতা রশিদসহ তার লোকজন মেয়েকে মারপিট করে মারাত্মক আহত করলে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। এই হামলার ঘটনায় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৪ জনকে আসামি করে মামলা (নং-১৩)দায়ের করা হয়। মামলার প্রধান আসামি রশিদকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। কিন্তু অপর আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাদের গ্রেপ্তার না করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নুরুল ইসলাম। আসামিরা বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেওয়ায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন পরিবারের সদস্য-সদস্যারা, সংবাদ সম্মেলনে এমনটি দাবি নুরুল ইসলামের।

কলারোয়ায় ৪৮টি বিদ্যালয় ও ৩১ টি মাদ্রাসা আইসিটি প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ:
এবার কলারোয়া উপজেলা থেকে ৪৮টি বিদ্যালয় ও ৩১ টি মাদ্রাসা থেকে আইসিটি প্রশিক্ষণে সহকারী শিক্ষকগণ অংশগ্রহণ করেছে। মঙ্গলবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ জানান,সাতক্ষীরা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে নয়দিন ব্যাপি কারিকুলাম বিস্তরণ কর্মসূচি প্রশিক্ষণ-২০১৪ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধীনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন সেকেন্ডারী এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম এর আওতায় এসএসসি ও দাখিল পর্যায়ে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকগণের জন্য তিনটি ব্যাচে যথাক্রমে ১৭-১২-২০১৪ থেকে ২৮-১২-২০১৪ খ্রিঃ তারিখ পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সাতক্ষীরা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে এই প্রশিক্ষণ চলবে। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করছেন সাতক্ষীরা জেলার সবকয়টি উপজেলা। এরই ধারাবাহিকতায় কলারোয়া উপজেলাধীন ৪৮টি বিদ্যালয় ও ৩১ টি মাদ্রাসা থেকে কর্মরত বিভিন্ন বিষয়ের সহকারী শিক্ষকগণ উক্ত প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। যে সকল বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন সেগুলি হলো বাংলা, ইংরেজী, গণিত, সামাজিক বিজ্ঞান, আইসিটি,শারীরিক শিক্ষা, চারু ও কারুকলা, ইসলাম ধর্ম ও হিন্দু ধর্ম শিক্ষা। আয়োজক জেলা শিক্ষা অফিস।

কলারোয়ায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীসহ আটক-৪:আটক,
মঙ্গলবার কলারোয়া থানা পুলিশ অভিয়ান চালিয়ে ৪ব্যক্তিকে আটক করেছে। কলারোয়ার থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবার ভোর রাতে থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার কয়লা গ্রামের দাউদ বিশ্বাসের পুত্র আবুল কাশেম(৫০), মৃত. আবুলের পুত্র আনিছুর রহমান (৪০), বুইতা গ্রামের মুজিবুর রহমানের পুত্র কামরুল ইসলাম(৩৫) ও উপজেলার খলসি গ্রামের বাহার আলীর পুত্র বাবু (৩৫)কে আটক করে। আটককৃতদের মধ্যে বাবুর বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা আদালতে জিআর মামলা নং-৫৪/১৩ একটি ওয়ারেন্ট রয়েছে। বাকীদের সন্দেহজনক ভাবে আট করে পুলিশ আইনের ৩৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করেছে।



মন্তব্য চালু নেই