কলারোয়ায় গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে দুই মোটরসাইকেল আরোহী গুরুতর আহত

কলারোয়া সড়ক দূর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে কলারোয়া-চান্দুড়িয়া সড়কের লোহাকুড়া মোড় এলাকায় ওই দূর্ঘটনাটি ঘটে। দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের গয়ড়া গ্রামের মৃত সৈয়দ আলীর পুত্র মোজাফফার আলী (৪৫) ও নাসির হোসেনের ছেলে কামরুল হোসেন (৩৫) বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে একটি মোটরসাইকেল যোগে মোজাফফার ও কামরুল গয়ড়া থেকে কলারোয়ার দিকে আসছিল। এসময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেলটি রাস্তার পাশের একটি গাছে সজোরে ধাক্কা খায়। দুই আরোহী ছিটকে গাছের সাথে সজোরে ধাক্কা খেয়ে পাশের একটি ঘেরের পানিতে পড়ে যায়। স্থানীয়রা সজ্ঞাহীন অবস্থায় আহত দুই ব্যক্তিকে দ্রুত উদ্ধার করে কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে বিকেলেই সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাদের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন আহতদের স্বজনরা। দূর্ঘটনায় মোটরসাইকেলটি দুমড়েমুচড়ে গিয়েছে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।

 

শিশুকে পাচারকালে কলারোয়া সীমান্তে ছদ্দবেশি ফকির আটক
এক শিশুকে ভারতে পাচারকালে কলারোয়া সীমান্ত থেকে ষাটোর্দ্ধ লালনের মতাদর্শী ছদ্দবেশি প্রতারক ফকিরকে আটক করেছে বিজিবি। এসময় পাচারের কবল থেকে বিজিবি উদ্ধার করেছে আল-আমীন নামের ১২বছর বয়সী ওই শিশুকে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কেঁড়াগাছি সীমান্তের কাকডাঙ্গা বিওপি ক্যাম্পের সামনে থেকে আটক ও উদ্ধারের ঘটনাটি ঘটে। আটক পাচারকারী লালনের মতাদর্শী ছদ্দবেশ ফকির হেলাল উদ্দীন ওরফে কামাল ওরফে বেলাল (৬৫) চাঁদপুর জেলার মতলব থানার সরদারকান্দি গ্রামের মৃত শাহ আহমেদের পুত্র। স্থানীয় সূত্র জানায়, ২দিন আগে ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশনে নেত্রকোনা জেলার কমলাকান্দার নাজিরপুর এলাকার চাঁনমিয়ার শিশুপুত্র আল-আমীনের (১২) সাথে পরিচয় হয় প্রতারক হেলাল উদ্দীনের। বিভিন্ন কথার এক পর্যায়ে হেলালউদ্দীনকে শিশু আল-আমীন জানান যে, মাস তিনেক আগে সে সৎ-মায়ের দ্বারা বিতাড়িত হয়ে কাজের সন্ধানে ঢাকায় এসে একটি হোটেলে কাজ নেয়। কিন্তু সেখানে কোন বেতন না দেয়ায় সে ‘কুলি’র কাজ করার জন্য রেল স্টেশনে এসেছে। এসময় প্রতারক হেলাল উদ্দীন নিজেকে লালন ফকিরের মতাদর্শী পরিচয় দিয়ে কুষ্টিয়ায় লালনের দরগায় গিয়ে ভালো রোজগারের ব্যবস্থা করে দেবেন বলে আশ্বাস দেন। প্রতারক হেলাল কুষ্টিয়া যাওয়ার কথা বলে শিশু আল-আমীনকে নিয়ে সোমবার রাতে কলারোয়া এসে হাইস্কুলের বারান্দায় ঘুমিয়ে পড়েন। পরে মঙ্গলবার সকালে ভ্যানযোগে সেখান থেকে কলারোয়ার কেঁড়াগাছির গাড়াখালী সীমান্তে নিয়ে যাওয়ার সময় কাকডাঙ্গা বিওপির সুবেদার মেজর নুরুল ইসলাম ক্যাম্পের সামনে থেকে সন্দেহবশত: তাদেরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এসময় পাচারের বিষয়টি পরিষ্কার হলে প্রতারক হেলালউদ্দীনকে আটক ও আল-আমীনকে উদ্ধার করে বিজিবি। পরে তাদেরকে কলারোয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।



মন্তব্য চালু নেই