কলারোয়ার কুল চাষীদের সাথে মত বিনিময় করলেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান বলেছেন, সাতক্ষীরা জেলা কৃষি, শিক্ষা ,ক্রীড়া,পর্যটনসহ সব দিকে দিয়ে সম্ভবনাময়। জেলাকে দেশের শীর্ষে নিয়ে যেতে হলে সবার আগে কৃষকদের এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন,সাতক্ষীরার চাষীদের উৎপাদিত আম আজ বিদেশে রপ্তানী হচ্ছে। আগামীতে কুল ও রপ্তানী হবে। কারন এখানকার কুল উৎকৃষ্ট মানের।

তিনি বৃহস্পতিবার বিকালে জেলার কলারোয়া উপজেলার ঝাপাঘাট আইসিএম ক্লাবের আয়োজনে আইপিএম ক্লাবের মাধ্যমে পরিবেশ বান্ধব কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ ও বাজার জাত করণের লক্ষে ‘‘কুল চাষীদের’’ সাথে এক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তবে এসব কথা বলেন।

কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কমার রায় এর সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন কলারোয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মহাসীন আলী, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শেখ বিপুল হোসেন, হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, ঝাপাঘাট আইসিএম ক্লাবের সাধারন সম্পাদক আশরাফ আলী প্রমুখ।

প্রধান অতিথি তার বক্তবে আরো বলেন, সাতক্ষীরা জেলায় প্রতিবছর ৬ লক্ষ টন ধান উৎপন্ন হয়। জেলার প্রায় ২১ লক্ষ মানুষের চাহিদা রয়েছে ৪ লক্ষ টন। বাকী ২ লক্ষ টন রপ্তানী করা হয়। এমনি ভাবে মাছ,শাখ-সবজী সহ বিভিন্ন ধরনের কৃষিজাত পণ্য এখন এ জেলা থেকে অন্য জেলা বা রাজধানীতে রপ্তানী করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের এ কৃষি প্রধান দেশকে আরো সমৃদ্ধশালী করতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গুরুত্ব অপরীসীম।

তিনি কৃষিকাজের জন্য সব সময় কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিয়ে এবং পরিবেশের সাভসাম্য রক্ষার জন্য বিষ মুক্ত শাখসবজি উৎপাদন করার আহবান জানান। মত বিনিময় সভাশেষে তিনি প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপাদিত কেচো কম্পোষ্ট সার প্রকল্প ও স্থানীয় চাষীদের আবদ করা কুল বাগান পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ এবারের মৌসূমে কলারোয়া উপজেলায় ১ শ ৬০ হেক্টও জমিতে কুলের আবাদ করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই