কলকাতার ইডেনেও হুমকির মুখে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ

তাহলে ভারতে এসে খেলতেই পারবে না পাকিস্তান! ক্রমাগত হুমকির মুখে ধর্মশালার পরিবর্তে ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচের ভেন্যু সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে কলকাতার ইডেন গার্ডেনে। কিন্তু ভেন্যু পরিবর্তণেও স্বস্তি মিলছে না। কলকাতাতেও হুমকির মুখে পড়েছে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। ভারতের উগ্রপন্থী জঙ্গি গোষ্ঠিগুলো হুমকি দিয়েছে, ইডেনেও পাকিস্তানকে খেলতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে তারা ইডেনের উইকেট খুঁড়ে ফেলবে।

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে ভারতে বেশ রাজনীতিই হয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে জঙ্গি গোষ্ঠিগুলোও এই রাজনৈতিক ফায়দা লুটে নেয়ার চিন্তায় ব্যাস্ত। যেন এই ম্যাচটির যে যত বেশি বিরোধিতা করতে পারবে, তারই তত বেশি লাভ। সে কারণেই মূলতঃ ধর্মশালা থেকে ইডেনে সরিয়ে আনার পরও হুমকি অব্যাহত রেখেছে জঙ্গিরা।

অ্যান্টি টেরোরিস্ট ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া (এটিএফআই) নামের একটি সংগঠন প্রথম থেকেই ভারতের মাটিতে পাকিস্তানের খেলার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। ধর্মশালার ম্যাচ নিয়ে ঘোর আপত্তি জানিয়েছিল তারা। যদিও ধর্মশালায় উইকেট খুঁড়ে ফেলার হুমকি দিয়েছিল স্থানীয় উগ্রপন্থী গোর্খি সম্প্রদায়। এবার ইডেনের উইকেট খুঁড়ে ফেলার হুমকি দিল এটিএফআই।

শুধু এবারই নয়, এটিএফআই ভারতে এসে পাকিস্তানের খেলা বিরোধিতা করছিল ২০০৮ মুম্বাই হামলার পর থেকে। তারা মনে করে এসব সন্ত্রাসী হামলার পেছনে সরাসরি জড়িত রয়েছে পাকিস্তান। সুতরাং, তাদেরকে ভারতে এসে খেলতে দেওয়া কোনভাবেই উচিৎ নয়।

এটিএফআই ভারতের কেন্দ্রী সভাপতি বীরেশ সানদিল্য সংবাদ সংস্থা আইএএনএসকে বলেছেন, ‘পাকিস্তানকে ভারতের মাটিতে আতিথ্য দেওয়ার মানে হলো সাম্প্রতিক আক্রমণে আমাদের যে বীর যোদ্ধারা শহীদ হয়েছে, তাদের স্মৃতির প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা। যে কোনো মূল্যে এই ম্যাচটি আমরা হতে দেব না, ইডেনের পিচ আমরা খুঁড়ে ফেলব। বড় ধরনের প্রতিবাদ সমাবেশ হবে।’

ভারতী ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআইয়ের) প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘এটিএফআই বৈঠকে বসছে। তারা এই বৈঠক থেকে সিদ্ধান্ত নেবে, কিভাবে ভারতে পাকিস্তানের সফরকে ঠেকানো যায়! ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড কীভাবে আমাদের শহীদদের বিধবা স্ত্রীদের চোখের পানিকে এভাবে অবজ্ঞা করে! পুরো কলকাতায় আমরা প্রতিবাদ সমাবেশ করব, বিমানবন্দরেও করব।’

১৯ মার্চ ধর্মশালার পরিবর্তে ইডেনে হওয়ার কথা ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। বিশ্বকাপ খেলার জন্য ইতিমধ্যে কলকাতা চলে আসার কথা পাকিস্তানের। কারণ, একে তো প্রস্তুতির বিষয় রয়েছে, তারওপর দুটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে তারা। কিন্তু নিরাপত্তা ইস্যুতে ভারতের রাজনীতি গরম থাকায়, এখনও আফ্রিদিরা ভারতে এসে পৌঁছায়নি।



মন্তব্য চালু নেই