কর্মীদের এখনও আশায় রাখছেন নেতারা

আন্দোলন সফলতা লাভ করবে কবে? ছাত্রদলের এক কর্মীর কাছে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘মার্চের প্রথম সপ্তাহে কিছু একটা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

কেন এমন সম্ভাবনা? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রদলের ঐ কর্মী বলেন, ‘ভারতের পররাষ্ট্রসচিব মার্চের প্রথম সপ্তাহে ঢাকায় আসছেন। তিনি কিছু একটা করবেন বলেই নেতারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন।’

এভাবে আন্দোলন চাঙ্গা করতে মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন বিএনপি নেতারা। দেশব্যাপী কর্মীদের চাঙ্গা রাখতেই এমন কৌশল নিয়েছে দলটি।

শনিবার ছাত্রদলের ঐ কর্মীর সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। চলমান আন্দোলন বিষয়ে বিভিন্ন আলাপচারিতায় তিনি জানান, বিএনপি নেতারা কর্মীদের আশায়ই দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু ফোন ফল তারা পাচ্ছেন না।

চলতি মাসের প্রথমে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী জয়নাল আবদীন বলেছিলেন, ’১৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সরকারের পতন হবে।’

কিন্তু সেই ১৩ ফেব্রুয়ারি চলে গেছে অনেক আগেই। সরকারের আর পতন হয়নি। এরআগেও অনেকবার সরকার পতনে ডেডলাইন দিয়েছিল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। কিন্তু সফলতার মুখ দেখতে পারেনি সরকার বিরোধী এই জোট।

এসব কারণে বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা হতাশায় ভুগছেন। তাদের প্রশ্ন- আর কতোদিন এই আন্দোলন তারা টেনে নিয়ে যাবেন। সরকারের দমন, পীড়ন আর নির্যাতনে এমনিতেই বাড়ি ছাড়া দেশের অধিকাংশ অঞ্চলের নেতাকর্মীরা।

জানতে চাইলে নাম না প্রকাশের শর্তে মুঠোফোনে চট্টগ্রাম অঞ্চলের এক কর্মী এ্‌ই প্রতিবেদককে জানান, ‘আমি এক নেতাকে জিজ্ঞাস করলাম। ভাই আগামী সপ্তাহ কবে শেষ হবে। ধৈর্য্য তো আর কুলায় না। তিনি উত্তর দিলেন আর একটু ধৈর্য্য ধর। বিজয় সন্নিকটে। এভাবে কি আর হয় বলেন?’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান  বলেন, ‘গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলন শুধু বিএনপি তথা ২০ দলীয় জোটের একার নয়্, এটি বাংলাদেশে ১৬ কোটি মানুষের আন্দোলন। এ আন্দোলনে শুধু বিএনপি নেতাকর্মীরাই নয়, সাধারণ মানুষ অংশ নিচ্ছে। যার কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে সাধারণ মানুষ মারা যাচ্ছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আন্দোলন দীর্ঘদিন চলতে থাকলে নেতাকর্মীরা তো ঝিমিয়ে পড়বেই। তবে তাদেরকে চাঙ্গা রাখাও নেতাদের দায়িত্ব।’



মন্তব্য চালু নেই