কম সময়ে ওজন কমাতে জীবনযাত্রায় ৭টি পরিবর্তন আনুন

বাড়ি বসেই ওজন কমাতে চান? তাও আবার কম সময়ে। চিন্তা নেই এমনটাও করা সম্ভব। তবে তার জন্য কতগুলি নিয়ম মেনে চলতে হবে। তাহলেই একেবারে কেল্লাফতে! ওজন কমানো কিন্তু মোটেও সহজ কাজ নয়। তবে এই লেখায় আলোচিত পদ্ধতিগুলি মেনে চললে এই কঠিন কাজও একেবারে সোজা হয়ে যাবে।

প্রসঙ্গত, অতিরিক্ত ওজন কিন্তু একেবারেই ভাল নয়। কারণ এর থেকে একাধিক মারণ রোগ, যেমন- ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ এবং হার্টের রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকতে ওজন কমানো একান্ত প্রয়োজন।

একাধিক কারণে ওজন বাড়তে পারে। যেমন- হরমোনাল ইমব্যালেন্স, অস্বাস্থ্যকর ডায়েট, শরীরচর্চা না করা, হাই কোলেস্টেরল, পারিবারিক ইতিহাস প্রভৃতি। তবে কারণ যাই হোক না কেন, ওজন কমাতে যদি যথাযথ ব্যবস্থা না নেন, তাহলে কিন্তু বিপদ!
তবে চিন্তার কোনও কারণ নেই। আজ থেকেই এই নিয়মগুলি মেনে চলুন। তাহলেই দেখবেন নিমেষে ওজন কমতে শুরু করবে:

১. প্রথমত, ডায়েটের দিকে নজর দিতে হবে। ঠিক মতো খাওয়া-দাওয়া করাটা ওজন কমানোর প্রথম শর্ত। তাই পুষ্টিকর খাবার বেশি করে খান। কমান ভাজা-পোড়া খাওয়া। সেই সঙ্গে লাল মাংস, ফ্যাট মিল্ক প্রভৃতি খাওয়াও চলবে না কিন্তু! প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে পরমার্শ করে একটা ডায়েট চার্ট বানিয়ে নিতে পারেন।

২. ৩-৪ ঘন্টা অন্তর অন্তর কিছু না কিছু খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন। কারণ যে কোনও খাবার হজম হতে কম করে এই সময়টা লাগে। এই নিয়ম মেনে খাবেন তো হজম ক্ষমতা বাড়বে। আর যত এমনটা হবে তত শরীরে চর্বি কম জমবে, ফলে কমবে ওজন।

৩. জাঙ্ক ফুড খাওয়া যেমন চলবে না, তেমনি ভাজা-পোড়া খাবারও এড়িয়ে চলতে হবে। এমনটা করলে দেখবেন ওজন কমতে শুরু করেছে।

৪. ওজন কমাতে শরীরচর্চার কোনও বিকল্প নেই। তাই তো প্রতিদিন কোনও একটা নির্দিষ্ট সময়ে নিময় করে ব্যায়াম করুন। আপনার পছন্দ মতো যে কোনও ব্যায়াম করতে পারেন। সেটা যোগ ব্যায়ম হতে পারে, হতে পারে জুম্বা বা জিমিং।

৫. বিশেষজ্ঞদের মতে ঘুম থেকে উঠেই যদি শরীরচর্চা করা যায়, তাহলে মেটাবলিজম বা হজম ক্ষমতা বেড়ে যায়। ফলে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হতে শুরু করে। এমনটা হলে শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমার কোনও সুযোগই থাকে না।

৬. ওজন কমাতে সামনে একটা লক্ষ স্থির করে নিন। এমনটা করলে দেখবেন অস্বাস্থ্যকর খাবার ছাড়তে সমস্যা কম হবে। সেই সঙ্গে শ্রম বেশি দিতে পারবেন। বাড়বে মনের জোরও। ফলে তাড়াতাড়ি ওজন কমবে। তবে প্রথমেই খুব কঠিন কোনও লক্ষ্য নির্ধারণ করবেন না। ধীরে ধীরে লক্ষ্যটা বাড়াবেন, এমনটা করলে দেখবেন বেশি ভাল ফল পাবেন।

৭. ওজন কমাতে চিকিৎসক যেমন ডায়েট চার্ট বানিয়ে দেবেন সেই মতো খাবেন। ইচ্ছা হলেও জাঙ্ক ফুড বা ভাজা-পোড়া খাবেন না। তবে ইচ্ছা মতো ঘুরিয়ে ফিরয়ে খাবার খেতেই পারেন। তবে সেটা হতে হবে স্বাস্থ্যকর।



মন্তব্য চালু নেই