কম বা বেশি ঘুম, দুটোই অস্বাস্থ্যকর!

স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল, এটি কে না জানে? সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে চাইলে মেনে চলতে হয় বিশেষ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জিনগত গঠন, ব্যায়াম, খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। প্রয়োজনের বেশি এবং কম দুটোই স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। কেউ যদি ওজন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে তবে শুধু ব্যায়াম এবং খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ নয়, আরামের নিদ্রাকেও আনতে হবে বশে।

সার্বজনীন জাতীয় ঘুম অধিদপ্তরের নীতিমালা অনুযায়ী, সদ্য জন্ম নেয়া শিশু ১৪ থেকে ১৭ ঘণ্টা, কিশোর-কিশোরীরা ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা, প্রাপ্তবয়ষ্করা ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা এবং বৃদ্ধদের জন্য সাত ঘণ্টা ঘুমের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

কম বা বেশি উভয় ধরনের ঘুমই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এর ফলে স্থুলতা, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। শুধু তাই নয় ধীরে ধীরে মস্তিষ্কও স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারায়।

ইউরোপিয়ান সোসাইটির গবেষণা অনুযায়ী, মস্তিষ্ক এবং মেটাবলিজম বিপাকের ওপর ঘুমের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশনে বলা হয়, প্রতিদিনের বিপাকীয় এবং হরমোন প্রক্রিয়া এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে ভাল এবং পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বাড়ে।

অপর্যাপ্ত এবং ঘুম শরীরের করটিসলের মাত্রা বাড়ায়, ফলে ক্ষুধা বেড়ে যায়। এই কারণে মানুষ দিনের পর দিন স্থুল হতে থাকে।

পর্যাপ্ত ঘুমানোর কৌশল:

আপনার জন্য কতটুকু ঘুম পর্যাপ্ত তা নির্ধারণ করুন। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যান এবং ঘুম থেকে উঠুন। ছুটির দিনেও একই নিয়ম মেনে চলুন। ঘুমানোর ঠিক আগে ভারি কিছু খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। ঘুমানোর কক্ষটি স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখুন।

পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানোর মাধ্যমে শুধু সুস্বাস্থ্য নয়, কাজের শক্তি এবং সৃজনশীলতাও ফিরে পাওয়া যায়। এটি ওজন কমাতেও সহায়ক ভূমিকা রাখে।



মন্তব্য চালু নেই