কম দামের গাড়িতেও অটোমেটিক গিয়ার

সারা পৃথিবীতে গাড়ির মেন্যুয়াল গিয়ার শিফটিং এর বদলে জায়গা করে নিয়েছে অটোমোটিক গিয়ার। হোক সেটা কমদামী গাড়ি কিংবা বেশিদামী গাড়ি। গতি এবং সময় বুঝে গাড়ির গিয়ার বদলাতে হয়। এটা বেশ ঝামেলার। গিয়ার বদলাতে একটু এদিক সেদিক হলেই গাড়ি বন্ধ হয়ে যায়। তাই গাড়ি উৎপাদনকারীরা এখন অটোমেটিক গিয়ারে যু্ক্ত হচ্ছে। এই দলে আছে জাপানি অটোমোবাইল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নিশান। তারা তাদের কমদামের ছোট আকারের গাড়িতে অটোমেটিক শিফটিং টেকনোলজি নিয়ে বাজারে হাজির হয়েছে।

অনুন্নত দেশে অপরিসর রাস্তা, গলি-ঘুঁপচি এবং যানজট। এই অবস্থায় সেখানে বারবার ক্লাচ পেডেল ব্যবহার করে গাড়ির গতির সঙ্গে গিয়ার বদল রীতিমতো ঝঞ্ঝাটের। এই ঝামেলা এড়িয়ে খরচ বেশি পড়লেও কম দামের গাড়িতেও ব্যবহৃত হচ্ছে অটোমেটিক গিয়ার।

ভারত কিংবা বাংলাদেশের বাজারে যেসব গাড়ি পাওয়া যায় তার বেশির ভাগই মেন্যুয়াল গিয়ার। বাজারে চাহিদাও তেমন তেমন ছিল না। কিন্তু ক্রমশ সেই চাহিদা বাড়ছে। তাই মারুতি-সুজুকি, টাটা মোটরস, হুন্ডাই এর মতো সংস্থা কম দামি গাড়িতেও ধীরে ধীরে সেই প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেছে।

car3নিসান ভারতের এমডি অরুণ মলহোত্র জানান, দু‘বছর আগে এ ধরনের গাড়ির চাহিদা ১% থাকলেও এখন তা বেড়ে হয়েছে ৩.৫%। তাই সেই বাজার ধরতে মাইক্রার নতুন সংস্করণ, ‘এক্স এল‘ এনেছেন তারা। দামের দিক দিয়ে এটি মাইক্রার সব চেয়ে দামি সংস্করণ ‘এক্সভি‘র চেয়ে ঠিক নীচের ধাপেই থাকবে। সম্প্রতি কলকাতায় সেই গাড়িটি প্রদর্শন করে তারা জানান। ভারতে এর দাম পড়বে ৬.৫৭ লক্ষ টাকা। সংস্থার দাবি, অন্য সংস্থা যে ধরনের ‘অটোম্যাটিক ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন‘এর সুবিধা দিচ্ছে, তাদের চেয়ে নিসানের প্রযুক্তি অনেক উন্নত এবং পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়।নিসান ভারতের এমডি অরুণ মলহোত্র জানান, দু‘বছর আগে এ ধরনের গাড়ির চাহিদা ১% থাকলেও এখন তা বেড়ে হয়েছে ৩.৫%। তাই সেই বাজার ধরতে মাইক্রার নতুন সংস্করণ, ‘এক্স এল‘ এনেছেন তারা। দামের দিক দিয়ে এটি মাইক্রার সব চেয়ে দামি সংস্করণ ‘এক্সভি‘র চেয়ে ঠিক নীচের ধাপেই থাকবে। সম্প্রতি কলকাতায় সেই গাড়িটি প্রদর্শন করে তারা জানান। ভারতে এর দাম পড়বে ৬.৫৭ লক্ষ টাকা। সংস্থার দাবি, অন্য সংস্থা যে ধরনের ‘অটোম্যাটিক ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন‘এর সুবিধা দিচ্ছে, তাদের চেয়ে নিসানের প্রযুক্তি অনেক উন্নত এবং পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়।

প্রসঙ্গত, সংস্থার ভারতে ৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ করে ৭৫০টি বিশেষ ধরনের (লিমিটেড এডিশন) ‘মাইক্রা এক্স শিফ্ট’ গাড়িও বাজারে এনেছে তারা।

এখনও সংস্থা ভারতের বাজারে যত গাড়ি বিক্রি করে, রফতানি করে তার দ্বিগুণ। দুই বাজারই তাদের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ দাবি করলেও এমডি জানান, দেশের বাজারের সর্বত্র দ্রুত গাড়ির যন্ত্রাংশ পৌঁছে দিতে তাঁরা আঞ্চলিক যন্ত্রাংশ বণ্টন কেন্দ্র চালুর পরিকল্পনা নিয়েছেন। প্রথমটি চালু হয়েছে গুড়গাঁওয়ের মানেসরে।
car
এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, এত দিন চেন্নাই থেকে উত্তর ভারতে যন্ত্রাংশ পৌঁছে দিতে সময় লাগত প্রায় নয় দিন। কিন্তু ওই কেন্দ্রে মজুত যন্ত্রাংশ অনেক কম সময়ে গোটা উত্তর ভারতে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। এ ভাবেই পূর্ব ও পশ্চিম ভারতের বাজারের জন্যও বণ্টন কেন্দ্র চালু করবেন তারা।

এখন দেশের বাজারে নিসানের অংশীদারি মাত্র ২%। আগামী তিন-চার বছরে মধ্যে তা পাঁচ শতাংশে নিয়ে যাওয়াই সংস্থার লক্ষ্য।

 



মন্তব্য চালু নেই