কমলাপুরে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড়

স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গ্রামের বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে মানুষ।

কমলাপুর রেল স্টেশনে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঘরমুখো যাত্রীদের ছিলো উপচেপড়া ভিড়। ঈদ উপলক্ষে গত ২৯ আগস্ট থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ৩০ আগস্ট দেওয়া হয়েছিল আজকের (৮ সেপ্টেম্বর) টিকিট।

সকাল থেকে কমলাপুর স্টেশনে ট্রেনের সিডিউল অনুযায়ী দিনাজপুরগামী একতা এক্সপ্রেস, অগ্নিবীনা, রাজশাহী এক্সপ্রেস, ময়মনসিংহগামী ঈশা খাঁন এক্সপ্রেস সিলেটগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ও কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসের জন্য অনেকেই পরিবার-পরিজন এবং বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে, কেউবা একাই কাঙ্খিত ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ কারণে কমলাপুরে ছিলো উপচে পড়া ভিড়।

স্টেশন সূত্র জানা গেছে, সরকারি ছুটির কারণে বৃহস্পতি ও শুক্রবার এ দু’দিন কমলাপুরে অন্যদিনের তুলনায় যাত্রীদের ভিড় সবচেয়ে বেশি হবে ।

এদিকে স্টেশনে বড় বড় দুটি ব্যাগ, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন বেসরকারি চাকুরিজীবী মিজানুর রহমান।

তিনি বলেন, জীবিকার প্রয়োজন এই শহরের মানুষ শরীর বেঁধে রাখে ভাড়া বাসার চার দেয়ালে অথবা নিজস্ব ফ্ল্যাটের আভিজাত্যেই। কিন্তু মন পড়ে থাকে নিজ গ্রামে। ঈদের সময় পরিবার পরিজন নিয়ে গ্রামে ঈদ করতে যাওয়ায় মনে আলাদা প্রশান্তি কাজ করে। যে কারনে শত ভোগান্তির মাঝেও বাড়ি ফেরায় আলাদা ভালো লাগা থাকে।

অন্যদিকে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি নির্ধারিত সময়ে প্লাটফর্মে না আসায় কমলাপুর স্টেশনে যাত্রীদের অপেক্ষা বাড়তে থাকে। নির্ধারিত ট্রেনের জন্য বান্ধবীদের সঙ্গে অপেক্ষায় ছিলেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সানজিদা তাসলিম।

তিনি বলেন, সড়ক পথে অতিরিক্ত যানজটসহ নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।এসব এড়াতে তাই ট্রেনের টিকিট কেটেছি। এখানেও বিলম্ব। তবুও শত বিড়ম্বনা উপেক্ষা করে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছি। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগির জন্য বিড়ম্বনার মধ্যে এই ঘরে ফেরাতেই আনন্দ।

এদিকে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, যাত্রীরা যেমন সুন্দর এবং সুশৃংঙ্খলিত ভাবে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটতে পেরেছেন, আশা করা যায় ঠিক তেমনি সবার ঈদ যাত্রাও আনন্দদায়ক হবে। ট্রেন যাত্রায় যাত্রীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক রাখতে এবং কোন সমস্যা যেন না হয় সেজন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই