কমলাপুরে ঈদ ফেরত মানুষের ঢল

প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি শেষে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে ঢাকা ঢুকছে হাজার হাজার মানুষ। কমলাপুর রেল স্টেশনে ট্রেন আসছে আর নামছে মানুষের ঢল।

বুধবার কমলাপুর রেল স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, ট্রেন এসে থামছে আর হুড়হুড় করে বের হচ্ছে মানুষ। ট্রেন এসে থামার সঙ্গে সঙ্গে মানুষে ভরে যায় স্টেশন প্লাটফর্ম। দাঁড়িয়ে, ছাদে, সিটে বসে যে যেভাবে পারছে ফিরছে। অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে চলে আসছে রাজধানীতে।

যাত্রীর এই চাপ গতকালের চেয়ে আজকে অনেক বেশি; চাপ থাকবে আগামী রোববার পর্যন্ত এমনটাই জানিয়েছেন স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ট্রেন যথাসময়ে ঢাকা এসে পৌঁছাচ্ছে। ২-৪টি ট্রেন ছাড়া তেমন শিডিউল বিপর্যয় দেখা যায়নি। যাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে ঢাকায় আসতে পারে শুরু থেকে আমরা সেই চেষ্টাই করে এসেছি। ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে পরবর্তী ৭ দিন পর্যন্ত স্পেশাল ট্রেন চলবে বলে এই সময়টায় যাত্রী চাপ বেশি থাকবে।

তিনি জানান, ঈদ উপলক্ষে আমরা ট্রেন এবং বগি উভয়ই বাড়িয়েছি। বেলা ১১ টা পর্যন্ত মোট ১২টি ট্রেন ঢাকায় এসেছে। রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি দেরিতে ঢাকায় পৌঁছেছে। যাত্রী চাপ বেশি থাকলেও তারা নির্বিঘ্নে আসতে পারবেন বলে জানান তিনি।

এদিকে আজো যাত্রীদের নানা অভিযোগ করতে দেখা গেছে। ফিরতি পথেও যেনো ভোগান্তির অন্ত নেই কর্মস্থলে ফেরা মানুষগুলোর। কাক্সিক্ষত সিট না পেয়ে দাঁড়িয়ে আসার অভিযোগ তাদের।

চট্টগ্রাম থেকে চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে নামেন সোহেল রানা। তিনি বলেন, ট্রেন সময় মতো ছেড়েছে ঠিকই কিন্তু অনেক যাত্রীকে দাঁড়িয়ে আসতে হয়েছে। এ ছাড়া ট্রেনের ভেতরটা অনেক নোংরা ছিল। তবুও আসতে হয়েছে কি আর করা যাবে।

এবিষয়ে সিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে মানুষ দাঁড়িয়ে আসে বা ছাদে উঠে। এ ছাড়া যাত্রীরা নির্দিষ্ট কোচে না উঠার কারণেও সিট পায় না। তবে ট্রেনের ভেতর পুলিশের সহায়তা নিলে নির্দিষ্ট সিট পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সর্বোপরি যাত্রীরা নিজেরা সচেতন হলেই এর সমাধান হবে।

পরিবার নিয়ে ট্রেন থেকে নামেন আরেকজন যাত্রী নুর ইসলাম। তিনি থাকেন রাজধানীর আরামবাগে। কাজ করেন বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে। তিনি বলেন, বাড়ি ফেরার সময় অনেক কষ্ট করে টিকিট পেলেও কর্মস্থলে ফিরতে কোনো সমস্যা হয়নি। তবে ট্রেন একটু দেরিতে ছেড়েছে। এই কয়েকটা দিন প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পেরে অনেক ভালো লেগেছে। ছুটিটা যেনো দ্রুত শেষ হয়ে গেল।



মন্তব্য চালু নেই