কখন, কীভাবে চাকরি ছেড়ে দেবেন, জেনে নিন…

আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে চাকরি ছেড়ে দেয়াটা ভীষণ কঠিন একটি কাজ। এই দেশে যেখানে চাকরি পাওয়াই কঠিন, সেখানে চাকরি ছেড়ে দেয়ার চিন্তা কেউ স্বপ্নেও করতে পারেন না। কিন্তু তাই বলে একটা বাজে চাকরি দিনের পর দিন, বছরের পর বছর করে যাওয়া যায় না। চাকরিটি ছাড়বেন কি করবেন সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না? তাহলে এই ফিচারটি আপনার জন্যই। জেনে নিন কখন চাকরিটি ছেড়ে দেয়া আপনার জন্য মঙ্গলজনক এবং তখন আসলে কী করবেন।

১) যখন কাজ করতে গিয়ে আপনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন, তখন চাকরি ছেড়ে দেয়া ছাড়া উপায় নেই আসলে। যত যাই হোক, নিজের সুস্থতা আগে। যদি সুস্থই না থাকেন, তবে চাকরি দিয়ে কী হবে?

২) শারীরিক সুস্থতার সাথে মানসিকভাবেও সুস্থ থাকা চাই। কিছু চাকরি আছে, যেগুলোতে প্রচণ্ড মানসিক চাপ পড়ে, সর্বদা একটা টেনশনে বেঁচে থাকতে হয়। এবং বলাই বাহুল্য যে সকলে এই চাপটা সহ্য করতে পারেন না। অন্যদিকে অফিস পলিটিক্সসহ নানান আজেবাজে বিষয় নিয়েও মানসিক কষ্টে ভুগি আমরা। যদি মানসিক কষ্ট এই পর্যায়ের হয়ে যায় যে কিছুতেই সহ্য করতে পারছেন না আপনি এবং মানসিক অসুস্থতার প্রভাব শরীরেও পড়ছে, সেক্ষেত্রে চাকরিটি ছেড়ে দেয়াই ভালো।

৩) যখন আপনি বছরের পর বছর চাকরি করে যাচ্ছেন, কিন্তু সে অনুযায়ী সম্মান ও সম্মানী কিছুই পাচ্ছেন না, সেক্ষেত্রে চাকরি ছেড়ে দেয়া ছাড়া আসলে উপায়ও নেই কোন।

৪) কাজের চাপ কিংবা অফিস যখন আপনার ব্যক্তিগত জীবনকে শেষ করে দিচ্ছে, ক্রমশ একা ও নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ছেন আপনি, জীবন থেকে ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে সমস্ত আনন্দ, তখন বুঝবেন এই চাকরিটি শুষে নিচ্ছে আপনার জীবন। মনে রাখবেন, জীবনের জন্য চাকরি, চাকরির জন্য জীবন নয়।

কী করবেন?

  • -চাকরি ছেড়ে দিতে চান বলেই হুট করে ছেড়ে দেবেন না। প্রথমে ভালো করে ভেবে দেখুন, কোনভাবেই কি চাকরিটি টিকিয়ে রাখার কোন উপায় নেই? প্রয়োজনে নিজেকে একটা ডেডলাইন বেঁধে দিন যে সেই সময়টি পর্যন্ত আপনি অপেক্ষা করবেন।
  • -নিজের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করুন, সেখুন সমাধানের পথে মেলে কিনা।
  • -চাকরি ছেড়ে দেয়ার আগে অপর একটি চাকরি খুঁজুন। অন্য একটা চাকরি পেয়ে তবেই এটা ছাড়ুন।
  • -অন্য চাকরি না পেলেও ব্যাংকে মোটামুটি বছরখানেক চলার মত টাকা থাকতে চাকরি ছাড়ুন। একেবারে শুন্য হাতে চাকরি ছাড়ার ভুলটি করবেন না।

সূত্র- সাইকোলজিটুডে



মন্তব্য চালু নেই