কখনই অভিনেত্রী হতে চাননি অনুষ্কা শর্মা!

১৯৮৮ এর ১ মে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় জন্ম অনুষ্কার। অযোধ্যায় জন্ম হলেও অনুষ্কার বড় হয়ে ওঠা বেঙ্গালুরুতেই। অনুষ্কার বাবা কর্নেল অজয় কুমার শর্মা আর্মি অফিসার ছিলেন। দাদা কার্নেশ শর্মা কাজ করেন মার্চেন্ট নৌবাহিনীতে।

আর্মি স্কুল থেকে পড়াশোনার পর বেঙ্গালুরুর মাউন্ট কারমেল কলেজ থেকে স্নাতক হন অনুষ্কা। ২০০৭-এ ল্যাকমে ফ্যাশন উইকের হাত ধরে মডেলিং জীবন শুরু করেন অনুষ্কা। এরপর মডেলিংকে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিতে মুম্বাই পাড়ি দেন।

মুম্বাইয়ে থাকাকালীন অনুষ্কা জানতে পারেন আদিত্য চোপড়ার রব নে বনাদি জোড়ি ছবির অডিশন চলছে। এরপরই তিনি সটান হাজির হয়ে যান অডিশনে। প্রথম ছবিতেই শাহরুখ খানের বিপরীতে অভিনয়ের সুযোগ পান অনুষ্কা। এরপরই যশ রাজ ব্যানারের ৩টি ছবিতে কাজ করেন অনুষ্কা।

ব্লকবাস্টার ছবি রব নে বনাদি জোড়ি ছবিতে কাজ করার পর থেকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি অনুষ্কাকে। রব নে বনাদি জোড়ি ছবিতে অনুষ্কার অভিনয় প্রশংসা পায়। শাহরুখ খানের অন্ধ ভক্ত ছিলেন অনুষ্কা। প্রথম ছবিতেই স্বপ্নের নায়কের বিপরীতে কাজের সুযোগ পেয়ে রীতিমতো আপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি।

এরপর ব্যান্ড বাজা বারাত (২০১০), জব তক হ্যায় জান (২০১২) ছবিতে অনুষ্কার অভিনয় প্রশংসা পায়। জব তক হ্যায় জান ছবির জন্য ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পান তিনি। ২০১৪-তে পিকে ছবিতে অনুষ্কার অভিনয় দর্শকের মন জয় করে।

২০১৫ তে মুক্তিপ্রাপ্ত NH10 ছবিতে অনুষ্কার অভিনয় বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়। এই ছবি দিয়েই প্রযোজক হিসেবে হাতেখড়ি দেন তিনি। দাদা কর্নেশ শর্মার সঙ্গে অনুষ্কা একটি প্রোডাকশন কম্পানি খুলেছেন। তাদের প্রযোজনা সংস্থার নাম ক্লিন স্লেট ফিল্মস ।

বম্বে ভেলভেট ছবিতে কাজ করার সময় ঠোঁটের প্লাস্টিক সার্জারি করান অনুষ্কা। তা নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় বহু সমালোচনা হয়। এখনও পর্যন্ত অনুষ্কা ১৯ বার ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হন। যার মধ্যে তিনি জেতেন ১০টি অ্যাওয়ার্ড।

শোনা যায়, অভিনয়ে আসার আগে জোহেব ইউসুফ নামে বেঙ্গালুরুর এক মডেলের সঙ্গে অনুষ্কা সম্পর্কে ছিলেন। যদিও সে সম্পর্ক বেশিদিন টেকেনি। এরপর রণবীর সিংয়ের সঙ্গেও অনুষ্কার সম্পর্কের কথা শোনা যায়। যদিও পরে শোনা যায়, বিরাট কোহলির সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন তিনি।

স্বপ্ন দেখতেন বড় মডেল হওয়ার, অভিনেত্রী হতে চাননি। কিন্তু, অবশেষে অনুষ্কা শর্মার ভাগ্যে শিঁকে ছেড়ে বলিউড অভিনেত্রী হিসেবেই। বাকি ইতিহাসটা সবার জানা। ইনাডু ইন্ডিয়া।



মন্তব্য চালু নেই