কক্সবাজারে দু’দিনে দেড় শতাধিক ঝুঁকপূর্ণ বসতি উচ্ছেদ

কক্সবাজার শহরের লাইট হাউজ পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারি আরো ২০টি বসতঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে বুধবার। গত দু’দিনে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ দেড় শতাধিক বসতঘর উচ্ছেদ করলো জেলা প্রশাসন। তবে কলাতলি হাইওয়ে রেস্ট হাউসের পাহাড়ে সরকারী ভুমি অবৈধ দখল করে রোহিঙ্গাদের ঝুঁকিপূর্ণ

বসতঘরগুলো এবং সৈকতপাড়ার আশপাশ ও টিএন্ডটি পাহাড়ের পাদদেশের অবৈধ বসতিগুলো উচ্ছেদ না করায় জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সোহাগ চন্দ্র সাহা জানান, তার নের্তৃত্বে একটি দল বুধবার সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শহরের লাইট হাউস এলাকার পাহাড় থেকে ঝুঁকিপূর্ণ ২০ টি বসত ঘর উচ্ছেদ করেন। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র সরওয়ার কামাল।

২৭ জুলাই পাহাড় ধসে কক্সবাজার শহরে ৫ জনের প্রাণহানির পর টনক নড়ে প্রশাসনের। মঙ্গলবার সকাল থেকে কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ শতাধিক বসতঘর উচ্ছেদ করে জেলা প্রশাসন। এ ছাড়া ঝুকিপূর্ণ স্থান থেকে লোকজনকে সরে যেতে নিদের্শনা দিয়ে বিশেষ প্রচারাভিযানও চালানো হচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আহমদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি ও সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মাজাহারুল ইসলাম এবং কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে পৃথক টিম সহ ২টি টিম মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত অভিযান চালায়। এসময় বিজিবি ও পুলিশের টিম উচ্ছেদ অভিযানে সহযোগীতা করেন।

মঙ্গলবারের উচ্ছেদ অভিযানে শহরতলির কলাতলী লাইটহাউজ, শুকনাছড়ি মুজিবনগর, কলাতলী জেল গেইট, ডিককুল সহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শতাধিক বসতঘর উচ্ছেদ করা হয়।

কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন,শনিবার রাত থেকে কক্সবাজারে ভারী বর্ষণ চলছে। প্রবল বর্ষণে কক্সবাজারে পাহাড় ধ্বসের শঙ্কা রয়েছে বলে সতর্ক বার্তা প্রচার করে জিওলজিক্যাল সার্ভে অব বাংলাদেশ। জিওলজিক্যাল সার্ভে অব বাংলাদেশের বিবণরীতে বলা হয়েছিল কক্সবাজার, টেকনাফ ও চট্টগ্রামে যেকোনো সময় অতিরিক্ত বর্ষণের কারণে ভুমি ধ্বস হতে পারে। এ খবর পেয়ে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনের পক্ষে সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে যেতে প্রচারণা চালানো হয়েছিল। কিন্তু এর মধ্যে সোমবার দিবাগত রাত ২ টায় কক্সবাজার শহরের দক্ষিন বাহারছড়ার কবরস্থান পাড়ার রাডার ষ্টেশনের পাহাড় ধসে ৪ টি বাড়ীতে চাপা পড়ে। এ ঘটনায় ২ শিশু, ২ নারী সহ ৫ জনের মৃত্যু হয়।



মন্তব্য চালু নেই