কংগ্রেসের শোকসাগরে নাও ভাসালেন মোদি

কংগ্রেসের শোকসাগরে নাও ভাসালেন ম্যাজিকম্যান-খ্যাত বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদি। তার ম্যাজিকে কংগ্রেস শিবিরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ১০ বছর পরে মোদি-ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে কংগ্রেস দুর্গ।

কংগ্রেসের হারের পূর্বাভাস ছিল আগে থেকেই। কিন্তু এতটা ভরাডুবি হবে, তা দলটির নেতারা আঁচ করতে পারেননি নিশ্চয়। ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন রাজনৈতিক দল হিসেবে কংগ্রেসের বিস্তার ভারতের পাড়ায় পাড়ায়। কিন্তু সে অস্তিত্ব এবার ম্লান করে দিলেন মোদি।

স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু থেকে শুরু করে ইন্দিরা গান্ধী এবং তার সন্তান রাজীব গান্ধী এবং রাজীব গান্ধীর স্ত্রী সোনিয়া গান্ধী পর্যন্ত কংগ্রেস দুর্গ সমুন্নত ছিল। হারের স্বাদ খুব বেশি তারা না নিলেও চার পুরুষে এসে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় পরাজয় হলো কংগ্রেসের।

১৬তম সাধারণ নির্বাচনে কংগ্রেসের নির্বাচনী সমন্বয়ক ছিলেন রাহুল গান্ধী। দল জিতলে হয়তো প্রধানমন্ত্রী হতেন তিনিই। কিন্তু একসময়ের ভারতবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষার দলটি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন ভোটাররা। ভারতের মানুষ আস্থা রাখলেন নরেন্দ্র মোদির ওপর।

চায়ের দোকানদার নরেন্দ্র মোদি সংসার ত্যাগ করে যোগ দেন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ভারতীয় স্বয়ংসেবক সংঘে। সেই থেকে তিনি একাকী জীবনযাপন করেন। কিন্তু নীতি ও আদর্শ এবং নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতার ওপর ভর করে তিনি উঠে আসেন মুখ্যমন্ত্রীর আসনে। গুজরাট থেকে চারবার এ পদে জিতেছেন তিনি।

গুজরাটের উন্নয়ন মডেল আকৃষ্ট করেছে ভেতর ও বাইরের বিনিয়োগকারীদের। দেশ পরিচালনার ক্ষমতা পেলে তিনি গুজরাটের মতো দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেবেন- এমন প্রতিশ্রুতিতে সাড়া দিয়ে মোদিকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চেয়েছেন ভারতের মানুষ।

এর আগের দুবার বিজেপি ক্ষমতায় এসেছিল জোট করে। এবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল দলটি। এর অবদান দেওয়া হচ্ছে মোদিকে। বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের নাওয়ে চড়েছেন ভারতের মানুষ। অপর পক্ষে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের তরি থেকে হতাশ হয়ে নেমে পড়েছেন দেশটির তরুণ প্রজন্ম। তারা কংগ্রেসকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে মোদির উন্নয়নের নাওয়ে উঠে পড়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই