ওসামা বিন লাদেনের নারী-আসক্তি ভাল লাগতো হেডলির

তার বাবার স্ত্রী ছিলেন ২২ জন। সন্তান সংখ্যা ৫৪। আর তিনি নিজে বিয়ে করেছিলেন ৬ জনকে। সেই ছয় স্ত্রীর থেকে তার সন্তান ছিল মোট ২০টি। দ্বিতীয় জন হলেন ৯/১১-র মূল পরিকল্পনকারী ওসামা বিন লাদেন। প্রথম জন তারই বাবা, মোহম্মদ বিন লাদেন। আর এই বিন লাদেন পরিবারের ‘বহু বিবাহ তত্ত্ব’ থেকে যিনি অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন, তাকে নিয়ে এবার একটি বই লিখে ফেলেছেন এক সাংবাদিক। আর শুরুতেই সেই বই নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গেছে। কলকাতার সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই জানিয়েছে।

‘দ্য মাইন্ড অব এ টেররিস্ট’। ডেনমার্কের সাংবাদিক কারে সোরেনসেন যে সন্ত্রাসবাদীর মনস্তত্ত্ব নিয়ে বইটি লিখেছেন, সেই ডেভিড কোলম্যান হেডলি এখন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কারাগারের অত্যন্ত গোপন কোনো কুঠুরিতে সাজা খাটছেন। ২০৩৯ সালে মুক্তি পাওয়ার কথা তার। কিন্তু হেডলিরই কিছু ফাঁস হয়ে যাওয়া ইমেল আর অডিও ট্রান্সক্রিপ্ট (লিপ্যন্তর) থেকে খোঁজ পাওয়া গেছে তার সম্পর্কে নানা অজানা তথ্যের। আর সেই তথ্যের সম্ভারই নিজের নতুন বইয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন সোরেনসেন।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বইটিতে মুম্বাই হামলার অন্যতম চক্রী হেডলির নারীসঙ্গ নিয়ে এক বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। যেখানে হেডলির উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ওসামা বিন লাদেনের বহু বিবাহ তাকে ভীষণ ভাবে টানে। আল কায়দা প্রধান নাকি বলতেন, ‘জীবনে এক জন স্ত্রী রাখাটা একলা পথ চলার মতো। দুই স্ত্রী মানে বাইসাইকেল চালানো। এটা দ্রুত চলে কিন্তু স্থিতিশীল নয় একেবারেই। তিনটে স্ত্রী থাকাটা ট্রাইসাইকেল চালানোর সমান। স্থিতিশীল। কিন্তু ধীরে চলো নীতি। কারও চার স্ত্রী থাকাটাই আদর্শ জীবন হতে পারে। কারণ এরপর সকলকেই অতিক্রম করে চলে যাওয়া যায়।’

লাদেনের এই উক্তি তুলেই সোরেনসেন তুলনা করেছেন হেডলির। জানিয়েছেন, লাদেনের এই একই সঙ্গে একাধিক নারীতে আসক্তির বিষয়টি বড় পছন্দ করতেন হেডলি। আর সেটাই নাকি ছিল তার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা।

প্রতিবেদন থেকে আরও জানা গেছে, মাদক পাচার থেকে শুরু করে সন্ত্রাসবাদী হামলার ছক তৈরি। সব বিষয়ে সিদ্ধহস্ত হেডলি নারী দেখলেই দুর্বল হয়ে পড়তেন। সোরেনসেন লিখেছেন, হেডলির দ্বিতীয় স্ত্রী ফইজা আউতাল্লাহার কথা। মরক্কোর বাসিন্দা ফইজা এক সময় লাহোর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন। সুন্দরী ফইজার প্রেমে পড়তে বেশি সময় নেননি হেডলি। ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে করেন তারা। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ঝামেলা। হেডলির অতি নারীতে আসক্তিই নাকি ছিল সেই অশান্তির মূল কারণ। বিয়ে বাঁচাতে নাকি লস্কর প্রধান হাফিজ সাঈদেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন ফইজা। আবার সেই ফইজাই নিজের স্বামীর জঙ্গি যোগের কথা মার্কিন পুলিশের কাছে ফাঁস করেছিলেন।

পাকিস্তানি নারীরা যদিও হেডলির পছন্দ ছিল না। কারণ হেডলি নাকি বলতেন, ‘পাকিস্তানের নারীরা অনেক জটিল। স্বামীর একাধিক স্ত্রী থাকলেই অশান্তি শুরু করে তারা। উল্টো দিকে আরবের নারীরা একেবারেই মনের মতো। কারণ তারা বড্ড খোলা মনের।’



মন্তব্য চালু নেই