ওঠ-বোস করলে কি সত্যিই ভুঁড়ি কমে?

শরীরের ‘মধ্যপ্রদেশ’টি নিয়ে কম-বেশি ব্যতিব্যস্ত অনেকেই। হাত, পা, কোমরকে কোনওমতে বাগে রাখা গেলেও, চরম অবাধ্য পেট। দিনরাত খাটা-খাটনির মধ্যে থাকার পরও, সেটি বেড়ে চলে আপন খেয়ালে। পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে ভোগেন এই এক সমস্যায়। বাঙালিদের মধ্যেই আবার পেটমোটা হওয়ার ট্রেন্ডটা উপরের দিকে। নির্মেদ পেটের স্বপ্ন দেখলেও, তা করতে গিয়ে কালঘাম ছোটে। জগিং, এক্সারসাইজ এসবের সময় না থাকলেও, একটি ব্যায়ামেই কিন্তু দুরন্ত ফল মিলবে। সিট আপ। রোজ গুনে গুনে সিট-আপ করলেই কেল্লা ফতে। অনেকেই এই তত্ত্বের কথা বললেও, তা মানার আগে একটু জাচিয়ে দেখে নিন।

সিট আপ ওভারঅল মেদ কমায়
সিট আপ শুধু পেটের অতিরিক্ত মেদ গলাতে পারে এমনটা ভাবলে ভুল করা হবে। সিট আপ করলে পেট তো বটেই, পাশাপাশি গোটা শরীরের মেদ ঝরে। স্বাভাবিক গতিতে বিশ্রাম না নিয়ে টানা ১০ মিনিট সিট আপ করলে, ৬০ ক্যালোরি গলতে পারে। শরীরের ওজনের উপরও আবার ফ্যাট গলার বিষয়টি নির্ভর করে। যদি আপনার ওজন ৬৮ কিলোর মধ্যে হয়, তবে সিট আপ করে কম হারে আপনার ক্যালোরি বার্ন হবে। আর ওজন তার থেকে বেশি হলে এক মিনিটে সাতটা সিট আপ করুন, আর দেখুন কত দ্রুত হারে আপনার ফ্য়াট গলছে।

সিট আপের মাধ্যমে চটজলদি ওজনহ্রাস হয় না
সিট আপ করে চটজলদি ওজনহ্রাস হবে, এটা বললে অতিকথন হয়ে যাবে। পেট কমানোর জন্য সিট আপের পাশাপাশি আরও কয়েকটি ব্যায়ামকে নিয়মিত যোগাভ্যাসের মধ্যে রাখতে হবে। পেটটা টুইস্ট করা, শুয়ে পা দুটোকে উপরে তোলা, উপরে তুলে ঘোরানো এসব ব্যায়ামও পেটের মেদ কমাতে বিশেষ উপযোগী। প্রথমেই নিজের উপর বাড়াবাড়ি রকমের চাপ দেবেন না। শুরু করুন ধীরে ধীরে। এরপর সিট আপের পাশাপাশি একটু একটু করে বাড়ান সহযোগী ব্যায়ামের সংখ্যা। তবে, সবার আগে ওয়ার্ম আপ করে নিতে ভুলবেন না।

ওঠ-বোস করার অন্যান্য উপকারিতা
শুধু শরীর বা গোটা শরীরের ওজন কমানোই নয়, সিট আপের অন্যান্য আরও বেশকিছু উপকারিতাও রয়েছে। মজ্জাকে শক্ত করা ও পেটের পেশির গঠনেও সাহায্য করে সিট আপ। পেশি বাড়লে আপনার শরীরের আরও ক্যালোরি গলবে। পেটের পেশি সুস্থ রাখবে পাকস্থলীকেও। সিট আপ করলে শক্তপোক্ত হবে উরুর পেশিও।



মন্তব্য চালু নেই