ঐতিহাসিক প্রশ্নের সম্মুখীন চীন-জাপান বন্ধুত্ব

চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং বলেছেন, জাপানের সঙ্গে তাদের বন্ধুত্ব বিশ্বযুদ্ধকালীন প্রায়শ্চিত্যের প্রশ্নে উৎরে যাবে কিনা তা দেখার সময় এসেছে। জাপান এ বছর তাদের কৃতকর্মের জন্যে সঠিক উপায়ে ক্ষমা চায় কিনা, তা দেখতে চান প্রধানমন্ত্রী।

চীনের বাৎসরিক সংসদীয় সভা শেষ হওয়ার পর সাংবাদিকদের সামনে এ মত ব্যক্ত করেন কেকিয়াং। মনে করিয়ে দেন সাম্প্রতিক সীমান্ত-সংক্রান্ত বিসংবাদের কথা, যা গত বছর থেকে বারবার আলোচনার সামনের সারিতে চলে আসছে।

তিনি বলেন, কোনো সন্দেহ নেই চীন-জাপান বন্ধুতা এখর ভীষণ সংকটকাল অতিক্রম করছে। বিতর্কের অন্যতম বিষয়বস্তু- বিশ্বযুদ্ধকালীন চীনে সংঘটিত জাপানী গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধ। ইতিহাসের ঐ অংশটিকে তারা কেমন চোখে দেখছে সেটি পরিষ্কার হওয়া আবশ্যক।

তিনি আরও বলেন, যুদ্ধাপরাধের প্রশ্নে জাপানের বর্তমান ভূমিকা বন্ধুত্ব অর্জনের প্রশ্নে একটি পরীক্ষা। একই সঙ্গে বন্ধুত্ব অর্জনে এটি একটি সুযোগও বটে।

বছরের শেষাংশে চীনে জাতীয় কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এ কুচকাওয়াজ আয়োজিত হবে। এতে ঐ যুদ্ধে অংশ নেয়া প্রধানতম দেশগুলোর নেতারা উপস্থিত থাকবেন।

কেকিয়াং তার পূর্বেই জাপানের কাছ থেকে কৃত গণহত্যার ব্যাপারে ক্ষমাপ্রার্থনাসুলভ মনোভাব দেখতে চান। তিনি মনে করেন, পূর্ব চীন সাগরে সমুদ্রসীমা ও দ্বীপের অধিকার প্রশ্নে জাপানের জাপানের সঙ্গে সম্পর্ক নয়ত আরও বিষাক্ত হয়ে উঠতে পারে।



মন্তব্য চালু নেই