‘এ যেন বাড়ি ফেরার আনন্দ’

প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে এসেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে ৩৬ সদস্যের একটি দল নিয়ে তিনি ঢাকায় এসেছেন। ওই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন চলচ্চিত্রশিল্পী, রাজনীতিক ও ব্যবসায়ী। রয়েছেন সুচিত্রা সেনের মেয়ে অভিনেত্রী মুনমুন সেন। শুক্রবার সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের সঙ্গে কথা বলেছেন অভিনেত্রী ও রাজনীতিক মুনমুন সেন। আলাপচারিতার কিছু অংশ তুলে ধরা হল পাঠকদের জন্য।

বাংলাদেশে এসে কেমন লাগছে?

এক কথায় বলব আমি এক্সাইটেড। বাংলাদেশ বরাবরই আমার কাছে প্রিয়। এ দেশের মানুষের সঙ্গে আমার আত্মীয়তার সম্পর্ক। এখানে আসার পর থেকে মনে হচ্ছে, আমি আত্মার খুব কাছাকাছি এসেছি। অনেক দিন পর বাড়ি ফিরেছি। এই মুহূর্তে আমি বাড়ি ফেরার আনন্দ অনুভব করছি। এ যেন বাড়ি ফেরার আনন্দ!

আপনার পূর্বপুরুষ তো বাংলাদেশের?

হ্যাঁ, আমার দাদাবাড়ি-মামাবাড়ি দুটোই বাংলাদেশে। আমার শেকড় তো এখানেই রয়েছে। কলকাতায় থাকলেও বাংলাদেশকে অনুভব করি হৃদয় দিয়ে। রাজনৈতিক কারণে এখন আমরা আলাদা থাকলেও একই সংস্কৃতিকে লালন করি। আমরা তো একই সংস্কৃতির উত্তরাধিকার বহন করে চলেছি।

অনেকদিন থেকেই বলছিলেন পাবনার বাড়িতে যাবেন? এবার কি সেখানে যাওয়া হবে?

যেতে তো খুব ইচ্ছে করছে। কিন্তু অল্প সময়ের জন্য এসেছি। এবার যাওয়া হচ্ছে না। তবে মন খুব চাইছে সেখানে ঘুরে যাই। সময়-স্বল্পতার জন্য হয়ত এবার আর যাওয়া হবে না। পরবর্তী সময়ে শুধু ঘুরে বেড়ানোর জন্যই আসব। তখন বাংলাদেশের বেশ কিছু জায়গায় যাওয়ার ইচ্ছে আছে।

রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি দলের অংশ হয়ে এসেছেন। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে তিস্তা পানি চুক্তিসহ কিছু বিষয়ে সমস্যা রয়েছে। আপনার কি মনে হয় এই সফরে বিষয়গুলোর সমাধান হবে?

এটা তো রাজনৈতিক প্রশ্ন। এই বিষয়ে দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের লোকজন ভাল বলতে পারবেন। আমি মনে করি দুই দেশের কুটনীতিক কিছু সমস্যা হয়ত রয়েছে। সেগুলো তোমরা যেমন চাইছ, আমরাও কিন্তু চাইছি সুষ্ঠু সমাধান হোক। আলোচনার মাধ্যমে সব কিছুরই সমাধান হবে আশা করছি।

বাংলাদেশ সফর নিয়ে আপনার মূল্যায়ন জানতে চাই?

এই সফরটি দুই দেশের কুটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ভবিষ্যতের জন্য এই সফরটি ভাল কিছু বহন করবে। আমরা তো একই সংস্কৃতির মানুষ। তবে দেশ এখন দুটো। তাই ভৌগোলিক সীমরেখা ঠিক রেখে কীভাবে আমাদের সুস্থ সংস্কৃতির চর্চা সমুন্নত রাখা যায়। সে ব্যপারে দুই বাংলার মানুষই কাজ করবে। এই সফরটি সেই ধারারই সূচনা করবে বলে আমার বিশ্বাস।

আপনাকে ধন্যবাদ।

তোমাকেও ধন্যবাদ।



মন্তব্য চালু নেই