এ কোন বিচারপতিকে নিয়োগ দিলেন ট্রাম্প?

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যাঁকে মনোনীত করেছেন, তাঁকে নিয়ে বিতর্ক উঠেছে।

প্রয়াত বিচারপতি আন্তোনিন স্ক্যালিয়ার জায়গায় এসেছেন নিল গরসুচ। আর তিনি ফ্যাসিবাদের প্রতি অনুরক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে। ওয়াশিংটন ডিসিতে স্কুলে পড়ার সময় ‘ফ্যাসিজম ফরএভার’ নামে সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। শিক্ষকদের বামপন্থার দিকে ঝুঁকে পড়ার প্রতিক্রিয়া হিসেবেই নাকি গরসুচ এ উদ্যোগ নিয়েছিলেন।

গত মঙ্গলবার আপিল বিভাগে ৪৯ বছর বয়সী গরসুচকে মনোনীত করেন ট্রাম্প।

জর্জটাউন প্রিপ্যারাটরি পড়ার সময় ‘ফ্যাসিজম ফরএভার’ সংগঠন প্রতিষ্ঠান করেন গরসুচ। ১৯৮৫ সালে স্নাতক শেষ করার আগ পর্যন্ত তিনি এ সংগঠনের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।

গরসুচের রক্ষণশীল রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি জানার ক্ষেত্রে আরো বিষয় জানা যেতে পারে। স্কুলের বার্ষিক বইয়ে পাওয়া ছবিতে দেখা যায়, ‘আপ ফ্রম লিবারেলিজম’ নামে একটি বই পড়ছেন গরসুচ, যার লেখক উইলিয়াম এফ বাকলি। এই বইটিকে রক্ষণশীল আন্দোলনে প্রধান লেখা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

গত ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ভোটে ডেমোক্র্যাট দলের হিলারি ক্লিনটনকে ইলেকটোরাল কলেজ ভোটে হারিয়ে দেন তিনি।

দায়িত্ব নেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই নতুন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সদ্য বিদায়ী বারাক ওবামার বেশ কয়েকটি আদেশ বাতিল করে দেন। এর মধ্যে আছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ‘ওবামাকেয়ার’। এ ছাড়া মেক্সিকোর সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন। নর্থ ডাকোটায় তেল পাইপলাইন নির্মাণেরও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। যদিও বিক্ষোভের মুখে বারাক ওবামা এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছিলেন।

ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিতির সংখ্যা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। সিএনএনসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের ভিডিও ফুটেজে ২০০৯ সালে বারাক ওবামার অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত জনতার সংখ্যা বেশি দেখা যায়। তবে হোয়াইট হাউসের নতুন প্রেস সেক্রেটারি শন স্পাইসার বলেন, সংবাদমাধ্যম মিথ্যাচার করছে। এমনকি ট্রাম্পও তাঁর টুইটারে সংবাদমাধ্যমের দিকে অভিযোগের তীর তোলেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনে হিলারির পক্ষে জাল ভোট পড়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন। নির্বাচনের আগেও তিনি এ বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। নির্বাচনে ট্রাম্প ইলেকটোরাল কলেজ ভোট বেশি পেলেও হিলারি জনপ্রিয় ভোট বেশি পেয়েছেন। ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ভোট ব্যবধান প্রায় ৩০ লাখ।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ নেওয়ার দিনই যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নামে। এদের বেশির ভাগই নারী। তারা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। ভোটগ্রহণের আগেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিসহ নানা অভিযোগ আসতে থাকে। অনেক নারী সংবাদ সম্মেলনে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে জয়ী হওয়ার পরও তাঁর বিরুদ্ধে এক নারী যৌন হয়রানির মামলা করেছেন।



মন্তব্য চালু নেই