এ কেমন সংসার: অন্য পুরুষদের সঙ্গে বিগত ৫ বছর ধরে যৌনতা করতে বাধ্য করতেন স্ত্রীকে! সর্বশেষ-

তাঁদের দাম্পত্য জীবনে নিয়মিত যৌনতা প্রায় ছিল না বললেই চলে। তবে পর্ন ফিল্মে স্বামী যা দেখতেন, সেই সমস্ত কাণ্ডকারখানাই স্ত্রীকে করতে বাধ্য করতেন তিনি।

পারস্পরিক বিশ্বাস আর ভালবাসাই দাম্পত্যজীবনের মূল ভিত্তি। কিন্তু কখনও কখনও স্বামী বা স্ত্রীর মানসিক বিকৃতির কারণে সেই ভিত্তি টলে যায়। দিল্লির নিকটবর্তী গাজিয়াবাদ থেকে তেমনই এক দম্পতির খবর মিলেছে সম্প্রতি। জানা গিয়েছে, যৌন বিকৃতি সম্পন্ন স্বামী নিজের যৌনসুখের জন্য তাঁর স্ত্রীকে অন্য পুরুষদের সঙ্গে যৌন ক্রিয়াকলাপে বাধ্য করতেন। এবং নিজে বসে দেখতেন সেই যৌনক্রিয়া। পীড়িতা স্ত্রী এই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন।

নিগৃহীতা স্ত্রী জানিয়েছেন, বিগত পাঁচ বছর ধরে চলছিল এই ঘটনা। তাঁর স্বামী অন্য পুরুষদের নিয়ে আসতেন তাঁদের বাড়িতে। তার পরে স্ত্রীকে বাধ্য করতেন সেই সমস্ত পুরুষের সঙ্গে বিছানায় যেতে। বিছানায় তাঁদের যৌন ক্রিয়াকলাপের সময়ে স্বামী নিজে নিতেন দর্শকের ভূমিকা।
ওই মহিলা জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী পর্ন ফিল্ম দেখতে খুবই ভালবাসতেন। তাঁদের দাম্পত্য জীবনে নিয়মিত যৌনতা প্রায় ছিল না বললেই চলে। তবে পর্ন ফিল্মে স্বামী যা দেখতেন, সেই সমস্ত কাণ্ডকারখানাই (যার অনেকটাই অস্বাভাবিক বলে মনে করতেন স্ত্রী) স্ত্রীকে করতে বাধ্য করতেন তিনি।

কিন্তু নিগৃহীতা এর আগে কখনও প্রতিবাদ করেননি কেন? মহিলার উত্তর, ‌‘আমার সন্তানদের কথা ভেবে। আমাদের দুই ছেলে-মেয়ে। দু’জনেই ছোট। আমি প্রতিবাদ করলে স্বামী ব্যাপারটা ভাল ভাবে নেবেন না, তা জানতাম। সে ক্ষেত্রে আমার কিছু হয়ে গেলে বাচ্চা দু’টির কী হবে, ভেবে চুপ থাকতাম।’

তা হলে পাঁচ বছর চুপ থাকার পর হঠাৎ তিনি পুলিশের কাছে গেলেন কেন? নিগৃহীতা জানাচ্ছেন, কয়েক দিন আগে এক সঙ্গে তিন জন পুরুষের সঙ্গে যৌন ক্রিয়ায় লিপ্ত হতে তাঁকে বাধ্য করেন তাঁর স্বামী। সেই রাত্রে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয় মহিলার। তার পরেই তিনি স্থির করেন, এই জিনিস চলতে দেওয়া যায় না। একটি মোবাইল ফোনের ভিডিও ক্যামেরা অন করে ফোনটিকে ঘরের মধ্যে লুকিয়ে রাখেন মহিলা। তখনই ক্যামেরাবন্দি হয়ে যায় তাঁর উপর স্বামীর নির্যাতনের ছবি।

সেই ভিডিও ফুটেজ নিয়ে গাজিয়াবাদ পুলিশ স্টেশনে গিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন স্ত্রী। পুলিশ অভিযুক্ত স্বামীকে হেফাজতে নিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে। শীঘ্রই সত্য উদ্ঘাটিত হবে।



মন্তব্য চালু নেই